বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম স্কন্ধ । ৫৯ অ । *○○ প্রকৃষ্ণ শস্ত্রকৌশল প্রয়োগ করত দুই বাণ প্রহার করিয়া উহাকে ত্রিধা খণ্ড করিয়া ফেলিলেন ; এবং দৈত্যের মুখে শর তাড়না করিতে লাগিলেন। সেই দৈত্যও খ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি গদা নিক্ষেপ করিল ; গদ আসিতে লাগিল ; গদাগ্রজ যুদ্ধস্থলে নিজগদাপ্রহারে ঐ গদা সহস্র ভাগে বিভক্ত করিয়া ফেলিলেন। পরে (দৈত্য) বাহু উত্তোলনপূর্বক শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি ধাবিত হইল। অজিত শ্ৰীকৃষ্ণ অবলীলাক্রমে চক্র দ্বারা তাহার শিরশ্চেদ করিয়া ফেলিলেন। মুর ছিন্নগ্রীব ও প্রাণচ্যুত হইয়া; ইন্দ্রের তেজে ভগ্নশৃঙ্গ পৰ্ব্বতের স্যায়, জলমধ্যে পতিত হইল। তাহার সপ্ত পুত্র পিতৃনিধনে কাতর ও প্রতীকারার্থ ক্রুদ্ধ, হুইয়া সমুদ্যত হইল। তাত্র, তান্তরীক্ষ, শ্রবণ, বিভাবস্থ, বস্থ, নভস্বান ও বরুণ, এই সপ্ত মুরাত্মজ ভৌমের আজ্ঞানুসারে অস্ত্র ধারণ করত, ক্রোধে ভীষণ হইয়া যুদ্ধে পীঠনাম এক ব্যক্তিকে সেনাপতি করিয়৷ খ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি এক কালে বাণ, খড়, গদা, শক্তি, ঋষ্টি ও শূল বৃষ্টি করিতে লাগিল। অমোঘ্যবীৰ্য্য ভগবানৃ সেই অস্ত্ৰজাল স্বকীয় শরসমূহ দ্বারা তিল তিল করিয়া ছিন্ন করিলেন; এবং ছিন্নশিরা, ছিন্নস্কন্ধ, ছিন্নভূজ, ছিন্নচরণ ও ছিন্নবৰ্ম্ম সেই সকলকে অধিনায়ক পীঠের সহিত যমালয়ে প্রেরণ করিলেন । ধরাস্বত নরক অচ্যুতের চক্র ও বাণ দ্বার স্বকীয় সেনাপতিদিগকে সেইৰূপে নিরস্ত হইতে দেখিয়া, অত্যন্ত কুপিত হইয়া সমুদ্রসস্তব মদম্রাবী হস্তীতে তাকঢ় হইয়া অগ্রসর হইল । অনন্তর নরক, সুর্য্যের উপরিভাগে বিদ্যুৎসাহিত মেঘের ষ্ঠায়, সত্যভামার সমভিব্যাহারে গরুড়োপরি উপবিষ্ট গ্রক ধকে নিরীক্ষণ করিয়া উাহার প্রতি শতস্ত্রী (শক্তি) নিক্ষেপ 8७