বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ło শ্ৰীমদ্ভাগবত । প্রসারণ করিয়া না পায়, ভাহা হইলে পীঠ ও উদুখলাদি দ্বারা উপায় রচনা করে । শিক্যস্থ ভাণ্ডের মধ্যে যে দধিভুগ্ধাদি থাকে, তাহা গ্রহণ করিতে মন হইলে, সেই সকল ভাওে ছিদ্র করে ; ছিদ্র করিতে বিলক্ষণ পটু ৷ একে (ইহার) অঙ্গ স্বভাবতঃ সমুজ্বল ; ভtহাতে আবার ভাস্থাতে মনিগণ সংলগ্ন আছে ; যখন গোপী সকল গৃহকার্য্যে ব্যগ্র থাকে, তখন ঐ অন্ধকার গৃহে প্রবেশ করত, আপনার উক্তপ্রকার অঙ্গকে প্রদীপ করিয়া, প্রয়োজন সাধন করে। এইরূপ বিবিধপ্রকার দুষ্টত করে । সুমার্জিত গৃহে পুরীষ পরিত্যাগ করে । চেীরের উপায় অবলম্বন করত কাৰ্য্য করে । তোমার নিকট যেন সাধুর ন্যায় রহিয়াছে । রমণীগণ কৃষ্ণের সভয়-নয়ন-শোভি ক্রমুখের দিকে দৃষ্টি করিয়া, এইরূপ গুণ ব্যাখ্যা করিলে, যশোদা হাসিতে লাগিলেন । তিরস্কার করিতে র্তাহার ইচ্ছা হইল না । একদা রাম-প্রভৃতি গোপবালকেরা ক্রীড়া করিতে করিতে আসিয়া মাভা (যশোদাকে ) নিবেদন করিল, “কৃষ্ণ মৃত্তিক ভক্ষণ করিয়াছে।” হিভৈষিণী যশোদা হস্তদ্বয় ধারণ করত ভয়-চকিত-লোচন পুত্রকে তিরস্কার করিয়া কহিলেন, রে দুর্বিনীত ! নির্জনে মৃত্তিক ভক্ষণ করিয়াছিস্ কেন ? এই সকল ব্রজবালক এবং ভোর জ্যেষ্ঠ রামও বলিতেছে । ( কৃষ্ণ কহিলেন, ) মা ! আমি মৃত্তিকা ভক্ষণ করি নাই ; ইহারা সকলেই মিথ্যা কহিতেছে । সকলের সমক্ষেই অামার মুখ দর্শন কর ; (দেখ) ইহাদিগের বাক্য সভ্য কি না । যশোদা কছিলেন, তবে মুখ ব্যাদান কর ।