বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায়। শুকদেব কছিলেন, হে মহাভাগ! হে ভাগবতশ্রেষ্ঠ ! উত্তম জিজ্ঞাসা করিয়াছ ; তুমি ঈশ্বরের কথামৃত বার বার শ্রবণ করিয়াও প্রশ্ন দ্বারা উহাকে নুতন করিতেছ। অচ্যুত যে সকল সারগ্রাহী সাধুদিগের বাক্য, কর্ণ ও অন্তঃকরণ, প্তাহাদিগের এই স্বভাব যে, যেমন স্ত্রৈণদিগের মধ্যে নুতন নুতন স্ত্রী-বিষয়িণী কথা হয়, তেমনি তাহাদিগের মধ্যে নুতন নুতন অচ্যুতাশ্রয়িণী কথা হইয়া থাকে। রাজনৃ! মনোযোগ করিয়া শ্রবণ কর ; গুপ্ত-বিষয় তোমাকে কহিতেছি ; গুৰুগণ প্রিয় শিষ্যকে গুপ্ত-বিষয়ও উপদেশ করিয়া গিয়াছেন । অঘবদনরূপ মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবার পর, বৎসপালদিগকে সরসী পুলিনে লইয়া আসিয়া, ভগবান এই কথা কহিলেন ;—আহা, বয়স্যগণ ! এই পুলিন অতি মনোরম ; আমাদিগের সহচরগণের যাবতীয় ক্রীড়াদ্রব্যই ইহাতে রহিয়াছে; স্বচ্ছ বালুক সকল অতি কোমল ; বিকাসোফুখ সরোবরের গন্ধে আকৃষ্ট হইয়া অলি ও বিহঙ্গকুল জলে বসিয়া শব্দ করিতেছে ; পুলিনব্যাপী এই সকল বৃক্ষ ঐ শব্দের প্রতিধ্বনি লইয়া ক্রীড়া করিতেছে । এই স্থানে সকলে ভোজন করা যাউক , বেলা অতিক্রান্ত হওয়াতে ক্ষুধায় কাতর হওয়া গিয়াছে । বৎসগণ জলপান করত নিকটে তৃণ ভক্ষণ করিয়া বিচরণ কৰুক্‌ ৷ বালকেরা “তাছাই হউক বলিয়া বৎসদিগকে হরিত