বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R8 রাজমালা । [ दिउँौब्र ংখ্যা অধিক ছিল বলিয়া মনে হয় না ; তাহ থাকিলে ধনুৰ্ব্বাণ বা জাঠা, শূল লইয়া রণক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা রক্ষা এবং যুদ্ধ জয় করা অসম্ভব হইত। সেকালে কেবল ত্রিপুর রাজ্যেরই এরূপ অবস্থা ছিল না ; ত্রিপুরার প্রবল-প্রতিযোগী মুসলমানগণও কামান, বন্দুকের সঙ্গে ধনুৰ্ব্বাণ ও খড়গ চৰ্ম্মাদি ব্যবহার করিতেন। গৌড়েশ্বর হোসেন সাহ, ধন্যমাণিক্যের বিরুদ্ধে ১৪৩৭ শকে যে বিপুলবাহিনী প্রেরণ করিয়াছিলেন, সেই সঙ্গে “লক্ষৈক পদাতি চলে, ধামুকী কটক ।” * মহারাজ বিজয়মাণিক্যের শাসনকালে, পাঠানবাহিনী চট্টগ্রাম আক্রমণ করে। মমরিক খাঁ নামক পাঠান সেনাপতি এই বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন । এতৎসম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত আছে ;– “মমারক ঐ নামে ত গৌড়েশ্বর শালা। মহাবীর পরাক্রম যুদ্ধে অতি ভাণা। তিন সহস্ৰ অশ্ব চলে তাহার সঙ্গতি । দশ সহস্ৰ ঢালি চলে ধাকুকি পদাতি ॥” এতদ্বারা প্রমাণিত হইতেছে যে, পাঠান শাসনকালেও ধনুর্নর্বাণের প্রচলন কম ছিল না । মোগল সম্রাট শাহজাহানের পুত্ৰগণের মধ্যে পরস্পর সমর কালেও তীরের ব্যবহার ছিল। ইংরেজ শাসনকালেই এ দেশে আগ্নেয়স্ত্রের সংখ্য অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে, এবং তাহাদের উপর সংহরণ ভার অপণ করিয়া ধনুৰ্ব্বাণ চিরবিদায় গ্রহণ করিয়াছে। সেকালের অক্ষয় কবচরূপী বৰ্ম্ম এবং চৰ্ম্মও ধনুর্ববাণের সহগামী হইয়াছে। এই সময় হস্তী, ঘোড়া এবং নৌকা যুদ্ধ কাৰ্য্যে ব্যবহৃত হইত। অন্য यूक यम । কোন জাতীয় প্রাণী বা অন্তবিধ যান ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায় না । অভিযান ও সমর। মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য যেমন ধাৰ্ম্মিক ছিলেন, তাহার শাসনকাল তেমনি শান্তিময় হইয়াছিল। র্তাহার বত্রিশ বৎসর ব্যাপী রাজত্বকাল মধ্যে কোনরূপ অশান্তি বা যুদ্ধ বিগ্রহাদি সঙ্ঘটিত হয় নাই। ণ" ধৰ্ম্মমাণিক্যের পর, তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে অতিক্রম করিয়া সেনাপতিগণ কনিষ্ঠ পুত্র দ্বিতীয় প্রতাপমাণিক্যকে সিংহাসন প্রদান করিয়াছিলেন। প্রতাপ

  • রাজমালা—ধন্তমাণিক্য থও,—২৫ পৃঃ । + “চিরকাল রাজ্য পালিলেক মহারাজা ।

শত্রু নাহি ছিল তার বঞ্চিলেক প্রজা ॥” ধৰ্ম্মমাণিক্য খগু,—৪ পৃঃ ।