পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5-ौल Уć. সৰ্বসম্মতিতে প্রভুর নীলাচলে গমন ও সেই স্থানেই বাস স্থির হইল। কারণ, নীলাচলে বঙ্গদেশীয় লোক প্রায়ই যাইয়া থাকেন, তথায় থাকিলে শচীমাতা সচরাচর প্রভুর সংবাদ পাইতে পরিবেন। ভক্তগণও তাঁহাতেই সম্মত হইলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ জননীর ও ভক্তগণের অভিপ্ৰায়মত নীলাচলেই বাস করিতে সম্মত হইয়া, ভক্তগণকে বলিলেন, “বাপ সকল, তোমরা আমার প্রাণত্যুল্য। আমি প্ৰাণ থাকিতে তোমাদিগকে বিস্মৃতি হইতে পারিব না । তোমরা সকলেই নিজ নিজ গৃহে যাইয়া কৃষ্ণকথা, কৃষ্ণনাম ও কৃষ্ণারাধনায় কালাতিপাত কর । আমি এক্ষণে নীলাচলে চলিলাম, মধ্যে মধ্যে আসিয়া তোমাদিগের সহিত দেখা করিব, এবং তোমরাও সময়ে সময়ে তথায় যাইয়া আমার সহিত দেখা করিতে পরিবো।” প্ৰভুকে ছাডিয়া থাকিতে সকলেরই প্ৰাণ কঁাদিয়া উঠিল, অন্তরাত্মা আকুল হইল, কিন্তু কেহই তাহার কথার উপর কথা কহিতে পারিলেন না। কেহই সাহস করিয়া কোন কথা বলিতে পারিলেন না বটে, কিন্তু তাহাদিগের আকার প্রকারই তঁাচাদিগের অভিপ্ৰায় ব্যক্ত করিল। প্রভুও ভাবগতি দেখিয়া অনেক প্রকার বুঝাইয় তাহাদিগের সাস্তুনা করিলেন । ভক্তগণ ক্ৰমে ক্রমে বিদায় লইয়া নিজ নিজ গৃহে গমনপূর্বক প্রভুর আজ্ঞা প্রতিপালনে প্ৰবৃত্ত হইলেন। অদ্বৈতাচাৰ্য্যের অনুরোধে কয়েকজন অতীব অন্তরঙ্গ ভক্তের সহিত প্ৰভু আরও কয়েকদিন শান্তিপুরেই থাকিলেন। পরিশেষে নিতানন্দ, জগদানন্দ, দামোদর, গোবিন্দ ও মুকুন্দ এই পাঁচজনকে সঙ্গে লইয়া প্ৰভু শান্তিপুর আঁধার করিয়া গঙ্গাতীর দিয়া ছত্ৰভোগপথে নীলাদ্রি অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। ইহঁরা পাঁচজনেই সন্ন্যাসী, ছিলেন। প্ৰভু যাইবার সময় স্বীয় জননীর রক্ষণাবেক্ষণের ভার আচাৰ্য্যকে সমৰ্পণ করিয়া গেলেন । नौव्लाष्ब्न बांडi। প্ৰভু যে ছত্রভোগের পথে চলিয়াছেন, ঐ ছত্রভোগ গঙ্গার দক্ষিণসীমা। গঙ্গাদেবী এই পৰ্য্যন্ত আসিয়া শতমুখী হইয়া সমুদ্রে প্রবেশ করিয়াছিলেন । এই ছত্ৰভোগ এখন ডায়মণ্ড হারবার সাবডিভিসনের মথুরাপুর থানার অন্তর্গত খাড়ি নামক গ্রামে অবস্থিত। এই স্থান জয়নগর মজিলপুর হইতে প্ৰায় তিন ক্রোশ দুৱবৰ্ত্তী। তখন গঙ্গা এই স্থান দিয়াই সাগরে মিলিত হইয়াছিলেন।