বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর فسرا স্বীকার করেন ও তত্তৎ-শাস্ত্রবাক্যে র্যাহাঁদের অচল বিশ্বাস, অলৌকিক তত্ত্বের স্বরূপ নির্ণয় ও উপাসনাদি বিষয়ে একমাত্ৰ বেদই যাহাঁদের মুখ্য প্ৰমাণ, লৌকিক প্ৰত্যক্ষাদি-প্ৰমাণ-নিচয়ের অত্যন্ত আবিষয় পরমতত্ত্বই র্যাহাদের আরাধ্য, কৰ্ম্ম জ্ঞান ও ভক্তি এই বৈদিকতত্ত্বত্ৰয়ে বা তাঙ্গাদের অন্যতমে যাহারা একান্ত পরিানিষ্ঠিত, বৈদিক আচাৰ্য্যের চরণাশ্ৰয়ই র্যাহারা তত্ত্বজ্ঞানলাভের প্রধান উপায় বলিয়া অবগত, বেদোক্ত আচারের অতিক্রমকে র্যাহারা প্ৰায়শ্চিত্তাহঁ বোধ করেন, তাহারাই বৈদিক সম্প্রদায় এবং তদ্বিপরীতলক্ষণাক্রান্ত জড়বিজ্ঞানাশ্ৰিত নাস্তিক সম্প্রদায়ই অবৈদিক সম্প্রদায়। কৰ্ম্ম-মীমাংসক ভগবান জৈমিনি, ন্যায়া5ार्थी डांवान् अश्श्रांत, বৈশেষিকাচাৰ্য্য ভগবান কণাদ, সংখ্যাচাৰ্য্য ভগবান কপিল, যোগাচাৰ্য্য ভগবান। পতঞ্জলি, নিগুণ-ব্ৰহ্ম-মীমাংসক ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য, সগুণ-ব্ৰহ্ম-মীমাংসক ভগবান শাণ্ডিল্য, জ্ঞানাচাৰ্য্য ভগবান বশিষ্ঠ, পাশুপতাচাৰ্য্য ভগবান উপমনু এবং সাত্বতাচাৰ্য্য ভগবান নারদ প্রভৃতি দেবর্ষিগণ ও মহবিগণ এই বৈদিক সম্প্রদায়ের প্ৰবৰ্ত্তক। ইহঁহাদিগের শিষ্য-প্ৰশিষ্যাদি-ক্রমেই বৈদিক সম্প্রদায় বহুশাখায় বিভক্ত হইয়াছেন। চাৰ্বাক,* ° লোকায়ত^ * ও বৌদ্ধাদি মত সকলই অবৈদিক সম্প্রদায়ের অন্তনিবিষ্ট । বৈদিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংখ্যাচাৰ্য্য ভগবান কপিল,* ২ স্বকল্পিত পুরুষতত্ত্ব হইতে অতিরিক্ত ঈশ্বরতত্ত্ব স্বীকার না ( s. ) 5ारीक-लूलनशकृबानी নাস্তিকদর্শনের প্ৰবৰ্ত্তক অনুরবিশেষ। eko ( ১১) যাহারা লৌকিক পরিদৃশ্যমান পদার্থভিন্ন অন্য স্বৰ্গ নরকাদি স্বীকার করেন না। তাহাদিগকে লোকায়ত বা নাস্তিক কহে । ( ১২ ) সাংখ্যদর্শন প্ৰণেতা কপিল দুইজন। তন্মধ্যে একজন বাসুদেবাংশ অপরজন অগ্নিবংশজ ঋষি। ভগবদবতার কপিলদেব সত্যযুগে মহর্ষি কৰ্দমের পুত্ররূপে স্বায়ভুবমনুর কন্যা দেবহুতির গর্ভে আবিভূতি হয়েন। ইনিই ষড়বিংশতিতত্ত্ববাদী সেশ্বরসাংখ্যশাস্ত্রপ্রণেতা। ইহারই প্ৰণীত সাংখ্যমত শ্ৰীমদ্ভাগবতের তৃতীয় স্কন্ধে সুস্পষ্ট পাওয়া যায়। বৰ্ত্তমানে প্রচলিত পঞ্চবিংশতি তত্ত্বাত্মকনিরীশ্বরসাংখ্যদর্শন অগ্নিবংশজকপিলঋষিপ্রণীত । এই সাংখ্যদর্শনে স্বাকল্পিত প্ৰকৃতি পুরুষতত্ত্ব হইতে অতিরিক্ত ঈশ্বরতত্ত্ব স্বীকৃত হয় নাই বলিয়া উহা সাধুসমাজে অনাদৃত হইয়াছে। মহামতিকপিলঋষি অনুরবুদ্ধিমোহনাৰ্থই এইরূপ বেদ-বিরুদ্ধ কৌশল উদ্ভাবন করিয়াছেন। অতএব হংসক্ষীরাঙ্গুন্যায়ে সাধুগণ উহার হেয়াংশ, পরিত্যাগ করিয়া বেদানুগত উপাদেয়াংশ গ্রহণ করিবেন। সাংখ্য প্রণেতা কপিল সেশ্বর ও নিরীশ্বর ভেদে যে দুইজন, তদ্বিষয়ে ভাগবত মৃত্যুবৃত পদ্ম পুরাণের বচন প্ৰদৰ্শিত হইল যথা “কপিলে বাসুদেবাংশস্তত্ত্বং সাংখ্যংজগাদহ। ব্ৰহ্মাদিভ্যশ্চ দেবেভ্যো ভূশ্বাদিভ্যস্তথৈবচ। তথৈবাক্ষরয়ে সর্ববেদার্থৈরুপবৃংহিতম্ ॥