মধ্য-লীলা t RSG LELSLLELEL MALLALSLAL LL LALASLLAAS LALLLAS नित्रिकe-जवशe । এইরূপে সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্যকে কৃতাৰ্থ কয়িয়া প্ৰভু দক্ষিণদেশ গমনের সঙ্কল্প করিলেন। তিনি ফান্ধন মাসে দোলযাত্রা দর্শন করিয়া বৈশাখ মাসের প্রারম্ভেই দক্ষিণদেশে যাইবার মানস করিলেন। দক্ষিণদেশে যাইবার মানস করিয়া প্ৰভু একদিন ভক্তগণকে বলিলেন, “তোমরা আমার প্রাণাপেক্ষ প্ৰিয়তম। তোমাদিগের বিচ্ছেদ আমার নিতান্ত অসহ, অসহ্য হইলেও বিশ্বরূপের উদ্দেশ করিবার নিমিত্ত আমি তোমাদিগকে ছাড়িয়া দক্ষিণগমনে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছি। তোমরা সকলে প্ৰসন্ন হইয়া আমাকে অনুমতি কর।” প্রভু’বিশ্বরূপের উদ্দেশ্য ছল করিয়া দক্ষিণদেশ কৃতাৰ্থ করিবার নিমিত্ত গমনে স্থিরনিশ্চয় হইয়াছেন বুঝিয়া ভক্তগণ প্রভুর বিরহচিন্তায় কাতর হইলেন। কেহই সাহস করিয়া কোন কথাই বলিতে পারিলেন না। নিত্যানন্দ বলিলেন,-“প্রভো, তুমি ইচ্ছাময়, যাহা ইচ্ছা হয় তাহাই করিতে পার । তোমার ইচ্ছায় বাধা দেয় এমন কে আছে ? কিন্তু একটি কথা, একাকী যাওয়া হইতে পারে না, দুই একজন ভক্তকে সঙ্গে লাউন। আমি দক্ষিণদেশের পথ ঘাট সকলই জানি, ইচ্ছা হইলে, আমাকেই সঙ্গে লইতে পারেন। আর যদি আমাকে সঙ্গে লইতে ইচ্ছা না হয়, তবে অন্য র্যাহাকে ইচ্ছা হয় তাহাকে লাইতে পারেন।” প্ৰভু বলিলেন,- “আমি সন্ন্যাস করিয়া শ্ৰীবৃন্দাবন যাইতেছিলাম, তুমি কৌশল করিয়া আমাকে ফিরাইয়া আনিলে। পরে যখন নীলাচলে আসিলাম, তখন দণ্ডটি ভাঙ্গিয়া ফেলিলে। তোমীদিগের প্রগাঢ় স্নেহে আমার কাৰ্য্যভঙ্গ হয়। এই জগদানন্দ আমাকে বিষয়ভোগ করাইতে চান। মুকুন্দ আমার সন্ন্যাসধৰ্ম্ম দেখিয়া দুঃখ পান। দামোদর সদাই আমার উপর শিক্ষাদণ্ড ধরিয়া আছেন। উনি লোকাপেক্ষার ধার ধারেন না । আমি কিন্তু লোকাপেক্ষা না করিয়া পারি না । অতএব তোমরা এই নীলাচলেই থাক। আমি সত্বর সেতুবন্ধপৰ্য্যন্ত ভ্ৰমণ করিয়া ফিরিয়া আসিতেছি। তোমরা আমার প্রত্যাগমন পৰ্য্যন্ত এই স্থানেই অবস্থান করা।” প্রভুর একাকী তীৰ্থপৰ্য্যটনের নিতান্ত আগ্ৰহ বুঝিয়া নিত্যানন্দ পুনশ্চ বলিলেন,-“যদি একান্তই আমাদিগকে সঙ্গে লইবেন না, তবে এই কৃষ্ণদাসকে সঙ্গে লউন । এই ব্ৰাহ্মণ নিতান্ত সরলপ্রকৃতি, আপনার ইচ্ছামতই কাৰ্য্য করিবে, আপনার ইচ্ছায় কোন বাধা দিবে না। পরন্তু আপনি পথে প্ৰেমাবেশে অচেতন থাকিবেন, কৃষ্ণদাস আপনার সঙ্গে থাকিলে অন্ততঃ জলপাত্র ও
