বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVVe শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর নৃসিংহের স্থানে যাইয়া শ্ৰীনৃসিংহ দৰ্শন করিলেন। নৃসিংহস্থান হইতে সিদ্ধবটে যাইয়া সীতাপতিকে দর্শন করিলেন। ঐ সিদ্ধবটে এক রঘুনাথোপাসকের সহিত প্রভুর সাক্ষাৎ হইল। তিনি প্রভুকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। প্ৰভু ঐ রঘুনাথোপাসকের গৃহে ভিক্ষা ও তঁহাকে কৃপা করিয়া স্কন্দক্ষেত্রে যাইয়া স্কন্দকে দর্শন করিলেন। স্কন্দক্ষেত্ৰ হইতে ত্ৰিমঠে যাইয়া ত্ৰিবিক্রম দর্শন করিলেন । ত্ৰিবিক্রম দর্শন করিয়া পুনশ্চ সিদ্ধবটে আগমন করিলেন। এবারও পূর্বোক্ত রঘুনাথোপাসকের সহিত সাক্ষাৎ হইল, এবং তঁহারই গৃহে ভিক্ষা করিলেন। প্ৰভু দেখিলেন, সেই রঘুনাথোপাসক নিজ অভ্যস্ত রামনাম না করিয়া নিরন্তর কৃষ্ণনাম লইতেছেন। তদর্শনে প্ৰভু তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিপ্রবর, অতিশয় আশ্চৰ্য্য' দেখিতেছি, তুমি পূর্বে নিরন্তর রামনাম গ্ৰহণ করিতে, এখন দেখিতেছি, তৎপরিবর্তে নিরন্তর কৃষ্ণুনাম গ্ৰহণ করিতেছ, ইহার কারণ কি বল ?” রঘুনাথোপাসক বলিলেন, “তোমার দর্শনপ্রভাবেই আমার এইপ্ৰকার ভাবান্তর ঘটিয়াছে। বাল্যাবধি আমার , রামনামগ্রহণই স্বভাব। বিশেষতঃ শ্ৰী রামচন্দ্ৰ আমার ইষ্টদেব । অতএব আমি রামনাম লইয়া বিশেষ সুখ পাইতাম । নামমাহাত্ম্যসূচক শাস্ত্ৰ সকল অনুসন্ধান করাও আমার অভ্যাস ছিল। ঐ সকল শাস্ত্ৰ অনুসন্ধান করিয়া জানিয়াছিলাম, রামশব্দেও পরব্রহ্মকে বুঝায় এবং কৃষ্ণশব্দেও পরব্রহ্মকেই বুঝায়। অথচ শাস্ত্ৰে কিঞ্চিৎ বিশেষ দেখা যায় যে, একবার রামনাম উচ্চারণ করিলে, সহস্ৰনাম পাঠের ফল হয়, আর একবার কৃষ্ণনাম উচ্চারণ করিলে, তিনবার সহস্ৰনাম পাঠের ফল হয়। এইরূপে কৃষ্ণনামের মহিমাধিক্য হইলেও, আমি • অভ্যাস বশতঃ রামনামই জপ করিতাম। তোমার দর্শনাবধি আমার কৃষ্ণনাম ফুরিত হইয়াছে। তদবধি কৃষ্ণনামের মহিমাও আমার হৃদয়ে জাগরূক হইয়াছে। আমি বুঝিয়াছি, তুমিই সেই শ্ৰীকৃষ্ণ ।” এই কথা বলিয়াই বিপ্ৰ প্ৰভুর চরণতলে পতিত হইলেন। প্ৰভু তঁহাকে কৃতাৰ্থ করিয়া বৃদ্ধ কাশীতে গমন ও শিবদর্শন করিলেন। বৃদ্ধ কাশীর বর্তমান নাম পুদুবেলি গোপুরম। এইটি বৌদ্ধদিগের স্থান। বৌদ্ধগণ প্রভুর বৈষ্ণবতার প্রভাব দেখিয়া ঈর্ষান্বিত হইয়া তাহাকে আপনাদিগের নববিধানে আনয়ন করিবার নিমিত্ত অনেক প্ৰয়াস পাইলেন । তাহারা আপনাদিগের মতের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাইবার নিমিত্ত প্রভুর সহিত অনেক তর্ক, অনেক বাদুবিতণ্ডা করিলেন। প্ৰভু তর্ক দ্বারাই তাহাদিগের মত খণ্ডন করিয়া গৰ্ব্বও খৰ্ব করিয়া দিলেন। বৌদ্ধগণ তর্কে পরাস্ত হইয়া শেষে কি এক কুমন্ত্রণা