বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शक्ष-ठौल S\ed বেঙ্কটভট্টের সহিত প্রভুর প্রতিদিনই কৃষ্ণকথার আলাপ হইত। বেঙ্কটভট্ট লক্ষ্মীনারায়ণের উপাসক ছিলেন প্ৰভু ভট্টকে শ্ৰী রাধাকৃষ্ণের উপাসনায় প্ৰবেশ করাইবার নিমিত্ত একদিন কথাপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করিলেন, "ভট্ট ८डांभांत ठी ঠাকুরাণী পতিব্ৰতার শিরোমণি হইয়াও আমার ব্রজেন্দ্রনন্দনের সঙ্গম প্রার্থনা করেন, ইহার কারণ কি ?” ভট্ট বলিলেন, “লক্ষ্মীশ ও কৃষ্ণ একই স্বরূপ হইলেও, কৃষ্ণে বৈদগ্ধ্যাদি কিঞ্চিৎ বিশেষ আছে বলিয়াই লক্ষ্মীঠাকুরাণী কৃষ্ণসঙ্গম প্রার্থনায় তপস্যা করিয়া থাকেন, এবং এইরূপ করাতেও কোন দোষ দেখা যায় না ; কারণ, তত্ত্বতঃ শ্ৰীকৃষ্ণ ও শ্ৰীনারায়ণ অভিন্ন।” প্ৰভু বলিলেন, “ভট্ট, তুমি যাহা বলিলে, তাহা সত্য, কিন্তু লক্ষ্মী তপস্যা করিয়াও শ্ৰীকৃষ্ণকে প্ৰাপ্ত হইলেন না, অথচ শ্রুক্তিগণ শ্ৰীকৃষ্ণকে প্ৰাপ্ত হইলেন, ইহার কারণ কি ?” ভট্ট বলিলেন, “আমি উহা বুঝিতে পারি না, তুমি আমাকে বলিয়া কৃতাৰ্থ কর।” প্ৰভু বলিলেন, “শ্রুতিগণ ব্ৰজদেবীগণের অনুগত হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণকে লাভ করিলেন ; লক্ষ্মী ব্ৰজদেবীগণের অনুগত না হইয়াই শ্ৰীকৃষ্ণকে লাভ করিতে ইচ্ছা করিলেন, এই নিমিত্ত লাভ করিতে পারিলেন না । নারায়ণ ও কৃষ্ণ তত্ত্বতঃ অভিন্ন হইলেও শ্ৰীনারায়ণ হইতে শ্ৰীকৃষ্ণের অসাধারণ গুণ । ঐ অসাধারণ গুণ থাকাতেই শ্ৰীকৃষ্ণ লক্ষ্মীদেবীর মন হরণ করেন । শ্ৰীনারায়ণ ব্ৰজদেবীগণের মন হরণ করিতে পারেন না। শ্ৰীনারায়ণের কথা দূরে থাকুক, স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ ও চতুভুজ মূৰ্ত্তি ধারণকরিয়া গোপীগণের অনুরাগভাজন হইতে পারেন নাই।” বেঙ্কটভট্ট শুনিয়া প্রভুর চরণে ধরিয়া বিবিধ স্তুতি করিতে লাগিলেন। প্রভুও র্তাহাকে কৃতাৰ্থ করিলেন। গোপাল ভট্ট নামে বেঙ্কটভট্টের একটী পুত্র ছিলেন। গোপালভট্ট প্রভুর বিশেষ অনুগত হইয়াছিলেন এবং সর্বদা প্রভুর তত্ত্বাবধান করিতেন। প্ৰভু ও বালক গোপাল ভট্টের আচরণে বিশেষ সন্তোষ লাভ করিতেন। প্ৰভু সন্তুষ্ট হইলে, কিছুই অলভ্য থাকে না । প্রভুর প্রসাদে বালক গোপালভট্টও কৃতাৰ্থ হইলেন । এইরূপে সপুত্র বেঙ্কটভট্টকে কৃতাৰ্থ করিয়া প্ৰভু চাতুর্মাস্তের পর পুনশ্চ দক্ষিণাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। তিনি প্ৰথমেই ঋষভ পৰ্ব্বতে গমন করিলেন । ঋষভ পৰ্বত মাদুরার নিকট । উহার বর্তমান নাম পালনি হিল। প্ৰভু ঋষভ পর্বতে শ্ৰীনারায়ণকে দর্শন করিলেন। ঐ স্থানে মাধবেন্দ্ৰ পুরীর শিষ্য পরমানন্দ পুরীর সহিত সাক্ষাৎ হইল। পুরী গোঁসাই চাতুৰ্ম্মাস্যের চারিমােস ঐ স্থানেই অবস্থিতি করিতেছিলেন। প্ৰভু পুৱী গোসাইকে দেখিয়া তাহার চরণবান্দনা