বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5-ौव्ल :R&Gł LATA AAAA LL LA S ELLLL SLLL L A AAAAALA AAA LL AAAASLLLSLAAS A AA S گیتی یا "همایی با kسمبر بھی آیا ہے ؟ لیبیا گھیس M محیی سمجھا ”لبین مجي& লাগিলেন। গোপীনাথাচাৰ্য্য উত্তমোত্তম মহাপ্ৰসাদ আনয়নপূর্বক সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্যকে দিয়া বলিতে লাগিলেন,-“কোথায় ভট্টাচাৰ্য্যের পূর্ব জড়ব্যবহার, আর কোথা এই পরমানন্দ, একবার বিচার করিয়া দেখ।” ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, আমি কুবুদ্ধি তার্কিক, তোমার প্রসাদেই আমার এই সম্পদের সিদ্ধি। মহাপ্রভুর তুল্য দয়াময় আর কেহ নাই। কাককে গরুড় করিতে পারে, এমন আর কে আছে ? কোথায় আমি তার্কিক শৃগালের সহিত হুয়া হুয়া করিতাম, আর এখন কি না সেই মুখে হরি কৃষ্ণ রাম নাম বলিতেছি। কোথায় বহিমুখ তাকিক শিষ্যগণের সঙ্গ, আর কোথায় এই সঙ্গসুধাসমুদ্র।” প্ৰভু শুনিয়া বলিলেন, “ভট্টাচাৰ্য্য, তোমার কৃষ্ণপ্রীতি পূর্বসিদ্ধা ; তোমার, সঙ্গে আমাদেরও কৃষ্ণে মতি হইয়াছে।” ভক্তের মহিমা বাড়াইতে ও ভক্তে সুখ দিতে মহাপ্রভুর সমান আর কে আছে ? এদিকে অদ্বৈতাচাৰ্য্য ও নিত্যানন্দ দুইজনে পাশাপাশি বসিয়াছিলেন। ভোজন কবিতে করিতে উভয়ের মধ্যে ক্রীড়া কলহ কাধিয়া গেল। অদ্বৈতাচাৰ্য্য বলিলেন, “অবধূতের সঙ্গে এক পঙক্তিতে ভোজন করিতে বসিয়াছি, না জানি আমার গতি কি হইবে ? প্ৰভু সন্ন্যাসী, উহঁর উহাতে কিছুই আসে যায় না, সন্ন্যাসীর অন্নদোষ হয় না ; আমি গৃহস্থ ব্ৰাহ্মণ, অবধূতের জাতি, কুল, শীল ও আচার কিছুই জানি না, উহঁর সঙ্গে এক পঙ ক্তিতে ভোজন অতিশয় অনাচাের।” নিত্যানন্দ বলিলেন, “তুমি • অদ্বৈতাচাৰ্য্য, অদ্বৈত সিদ্ধান্তে শুদ্ধা ভক্তির বাধ হয়, তোমার সিদ্ধান্ত ও তোমার সঙ্গ সর্বনাশকর। যে এক বস্তু ভিন্ন দ্বিতীয় মানে না, তাহার সঙ্গে একত্র ভোজন করিয়া আমারও কি দশা হয় জানি না।” এই রূপে দুই প্ৰভুতে ব্যাজন্তুতি হইতে লাগিল। ভোজন সমাপ্ত হইলে, সকলে হরিধ্বনি করিয়া উঠিলেন। উঠিয়া সকলেই আচমন করিলেন। আচমন শেষ হইলে, প্ৰভু স্বহস্তে সকলকেই মালচন্দন পরাইয়া দিলেন। স্বরূপাদি পরিাবেষকগণ গৃহমধ্যে বসিয়া মহাপ্ৰসাদ ভোজন করিলেন। গোবিন্দ প্রভুর ভোজনাবশেষ ধরিয়া রাখিলেন, এবং উহার কিয়দংশ হরিদাসকে প্ৰদান করিালেন। ভক্তগণ প্রভুর প্রসাদকণিকা গোবিন্দের নিকট হইতে চাহিয়া লইলেন। পশ্চাৎ গোবিন্দ প্রভুর প্রসাদ গ্ৰহণ করিলেন। গুণ্ডিচামার্জনের পরদিন জগন্নাথের নেত্ৰাৎসব নামক উৎসব। স্নানের পর একপক্ষ জগন্নাথের দর্শন হয় নাই। এই দিন লোকসকল জগন্নাথ দৰ্শন করিয়া আনন্দিত হইলেন। মহাপ্ৰভু ভক্তগণকে সঙ্গে লইয়া জগন্নাথ দৰ্শনার্থ