বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8S ' • ॐीबीgशोब्रश्नोत्र হইতে দেখিয়া আর সেরূপ সতর্ক দৃষ্টি রাখিবার প্রয়োজন বোধ করিলেন না। কাজেই রঘুনাথ অনেকটা মুক্তি পাইলেন। এদিকে প্ৰভু নীলাচলে যাইবেন বলিয়া ভক্তগণকে আলিঙ্গন করিয়া একে একে সকলের নিকট বিদায় লইলেন । আর তঁাহাদিগকে এবৎসর নীলাচলে যাইতেও নিষেধ করিলেন। সকলেই ? বলিলেন, “আমি নীলাচল হইয়া শ্ৰীবৃন্দাবন গমন করিব, অতএব এবৎসর তোমরা কেহই নীলাচলে যাইও না।” অনন্তর। প্ৰভু জননীর নিকট শ্ৰীবৃন্দাবনগমনের অনুমতি লইয়া তাহাকে নবদ্বীপে পাঠাইয়া দিলেন। পরে স্বয়ং কয়েকজন ভক্তের সহিত নীলাচল অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। পথে শ্ৰী পাস পণ্ডিতের ও রাঘব পণ্ডিতের গৃহে এক একবার পদার্পণ করিলেন। আর কোথাও কোনরূপ বিলম্ব না করিয়া অবিশ্রান্ত চলিয়া নীলাচলে উপনীত হইলেন। প্রভুর প্রত্যাগমনসংবাদ প্ৰাপ্ত হইয়া কাশীমিশ্ৰ, রামানন্দ, প্ৰদুম, সার্বভৌম, বাণীনাথ ও গদাধর প্রভৃতি ভক্তগণ জগন্নাথের মন্দিরেই প্রভুর শ্ৰীচরণ দর্শন করিলেন। প্ৰভু ভক্তগণকে আলিঙ্গন ও কুশলপ্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া বলিলেন, “আমি জননীর ও গঙ্গার চরণ দর্শন করিয়া শ্ৰীবৃন্দাবনে গমন করিব মনে করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহা ঘটিয়া উঠিল না। যাইবার সময় গদাধরকে দুঃখ দিয়া গিয়াছিলাম, বলিয়াই যাওয়া হইল না । পথে আমার সঙ্গে অনেক লোকসংঘােট হইল। অতিকষ্টে রামকেলি পৰ্য্যন্ত গমন করিলাম। ঐ স্থানে গৌড়েশ্বরের মন্ত্রী সনাতন ও রূপ আমার সহিত সাক্ষাৎকার করিতে আসিয়া লোকসংঘট্টি দেখিয়া ঐরূপ ভাবে শ্ৰীবৃন্দাবনে যাইতে নিষেধ করিল। আমিও বিবেচনা করিলাম, দুলভি, দুর্গম ও নির্জন শ্ৰীবৃন্দাবনে এত লোক লইয়া গেলে যাওয়ায় সুখ হইবে না 7 মাধবেন্দ্ৰ পুরী একাকী শ্ৰীবৃন্দাবনে গমন করিয়াছিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ দুগ্ধদানচ্ছলে তঁহাকে দর্শন দিয়াছিলেন । এই সকল ভাবিয়া চিন্তিয়া শ্ৰীবৃন্দাবনে যাওয়া হইল না, নীলাচলেই ফিরিয়া আসিলাম। এখন তোমরা অনুমতি প্ৰদান কর, আমি একাকী শ্ৰীবৃন্দাবনে গমন করি।” ভক্তগণ বলিলেন, “প্ৰভু, এই বর্ষার চারিমাস অতিবাহিত করিয়া পরে শ্ৰীবৃন্দাবন গমন করিবেন।” প্ৰভু তাহাঁতেই সম্মত হইলেন। ঐ দিবস গদাধর প্রভুকে ভিক্ষা করাইলেন। রাজা প্ৰতাপরুদ্র প্রভুর আগমনসমাচার পাইয়া কটক হইতে পুৱীতে আসিয়া প্রভুর চরণ দর্শন করিলেন।