পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 छै३ीgशोब्रश्नझन्न “স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ হরে লক্ষ্মীর মন । গোপিকার মন হরিতে নারে নারায়ণ ॥ নারায়ণের কা কথা শ্ৰীকৃষ্ণ আপনে। গোপিকারে হাস্য করিতে হয় নারায়ণে ৷৷ * চতুভূজ মূৰ্ত্তি দেখায় গোপীগণ আগে । সেই কৃষ্ণে গোপিকার নহে অনুরাগে৷” অতএব মহাবৈকুণ্ঠনাথ শ্ৰীনারায়ণই শ্ৰীকৃষ্ণের বিলাস, শ্ৰীকৃষ্ণ র্তাহার বিলাস নহেন, কিন্তু স্বয়ং-ভগবান, ইহাই সিদ্ধ হইতেছে। এই নিমিত্তই ব্ৰহ্মসংহিতাতে উক্ত হইয়াছে :- , ' “ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্ৰহঃ । অনাদিরাদির্গোবিন্দ্ৰঃ সৰ্বকারণকারণম৷” ব্ৰহ্ম সং (৫।১।। “রামাদিমূৰ্ত্তিষু কলানিয়মেন তিষ্ঠান নানাবতারমকারোদ ভুবনেষু। কিন্তু। কৃষ্ণঃ স্বয়ং সমভাবৎ পরমঃ পুমান যে গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজমি৷” ব্ৰহ্ম সং। ৫৩৯ ৷৷ শ্ৰীকৃষ্ণই পরমেশ্বর। সৎ, চিৎ ও আনন্দই তাহার শরীর। তিনি অনাদি ও সকলের আদি। গোপালন তাহার লীলা বলিয়া তাহার একটি নাম ‘গোবিন্দ” । তিনি নিখিল কারণের কারণ । যে পবমপুরুষ রামাদিমূৰ্ত্তিসমূহে নিয়মিত শক্তির অভিব্যক্তি করিয়া প্ৰপঞ্চে বিবিধ অবতার করিয়াছেন, আর শ্ৰীকৃষ্ণরূপে স্বয়ং* অবতীর্ণ হইয়াছেন, আমি সেই আদিপুরুষ শ্ৰীগোবিন্দের ভজনা করি। এই নিমিত্তই শ্রুতিস্তুতির তাৎপৰ্য্যবেত্তা দেবর্ষি নারদ, অন্য কাহাকেও প্ৰণাম না করিয়া, সেই ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণকে নমস্কার বলিয়া, শ্ৰীকৃষ্ণকেই প্ৰণাম করিয়াছিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণের সৰ্বেশ্বরত্ব র্তাহার লীলাতেই পরিব্যক্ত আছে। তাহার লীলার আলোচনাতেই তাহা দেখিতে পাওয়া যায়। • স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের অবতরণে মুক্ত, মুমুক্ষু ও বিষয়ী, এই ত্ৰিবিধ লোকই তুৎপরায়ণ হইয়া তদীয় দাস্যলাভে সমর্থ হয়েন। বিষয়ীসকল শ্রবণমনোহরজ্ঞানে তদীয়লীলার আলোচনায় ক্রমশঃ তৎপরায়ণ হইয়া তদীয় দাস্যধৰ্ম্ম লাভ করিয়া থাকেন। মুমুক্ষুসকল ভবৌষধাজ্ঞানে তদীয় লীলার