अति-लैौव्ल Gy অনিচ্ছুক।” এই কথা শুনিয়া মিশ্র সংসারে ঘোরতর হাহাকার পড়িয়া গেল । সনাতন মিশ্ৰ ভাবিলেন, নিমাই পণ্ডিত আজকাল নবদ্বীপের পণ্ডিতমণ্ডলীর শীর্ষস্থানীয়, অতএব, তিনি তাহার কন্যাকে বিবাহ করিবেন না। বিশেষতঃ এই বিবাহের কথাবাৰ্ত্তা শচীদেবীর সহিত হইতেছে। শচীদেবী স্ত্রীলোক, নিমাই পণ্ডিতও বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইয়াছেন, সুতরাং তিনি নিজের মতেই কাৰ্য্য করিবেন, জননীর মতে চলিবেন না । তাহারা এইপ্ৰকার আন্দোলন করিতে লাগিলেন। তঁহাদের কাল অতিকষ্টেই অতিবাহিত হইতে লাগিল। ক্ৰমে এই কথা শ্ৰীগৌরাঙ্গের শ্রুতিগোচর হইল। তিনি শুনিয়া বিশেষ দুঃখিত হইলেন এবং নিজের একজন সুহৃদকে ডাকাইয়া মিশ্রভবনে বিবাহের উদযোগ করিবার আদেশ করিয়া পাঠাইলেন । দুই বৎসর পরেই র্যাহাকৈ সংসারাশ্রম ত্যাগ করিতে হইবে, তিনি জানিয়া শুনিয়াও এরূপ কৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করেন কেন ? শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়াকে বিরহানলে দগ্ধ করিবার নিমিত্ত কি এই বিবাহ ?—না, শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়াকে ক্লেশ দিবার নিমিত্ত নহে, পরন্তু বিরহস্ফুৰ্ত্তি দ্বারা শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়ার প্ৰেমকে পরমদশান্ত প্ৰাপ্ত করাইবার নিমিত্ত। বিরহস্কৃৰ্ত্তি ভিন্ন প্রেম যে পরমদশান্ত প্রাপ্ত হয় না, তাহা সাধারণেৱ বুদ্ধিবোদ্য না হইলেও, ধ্রুব সত্য। সংসারী হইয়া সংসারত্যাগই প্ৰকৃত ত্যাগ, লোকসাধারণকে এই পৰ্য্যন্ত শিক্ষা দিবার নিমিত্ত, শ্ৰীগৌরাঙ্গ এই বিবাহের অনুমোদন করিলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গের অনুমতি পাইয়া সনাতন মিশ্রেীর বাটীর সকলেই মহানন্দে নিমগ্ন হইলেন। বিবাহের সমস্ত উদযোগ আয়োজন হইতে লাগিল। এদিকে শ্ৰীগৌরাঙ্গের শিষ্যগণ এবং বন্ধুবান্ধবগণও আনন্দে উন্মত্তপ্ৰায় হইলেন। কায়স্থ জমীদার বুদ্ধিমন্ত খান এবং মুকুন্দসঞ্জয় প্রভৃতি প্ৰভুর ভক্তগণ বিবাহের সমস্ত ব্যয়ভার গ্ৰহণ করিলেন। তঁহার একজন সম্পত্তিশালী ব্যক্তির বিবাহের ন্যায় শ্ৰীগৌরাঙ্গের বিবাহ দিবার মনস্থ করিলেন। লিখিত আছে ;--- “বুদ্ধিমন্ত খান বোলে শুন সর্ব ভাই । বামনিঞা মত এ বিবাহে কিছু নাই৷ এ বিবাহে পণ্ডিতের করাইব হেন। রাজকুমারের মত লোকে দেখে যেন ৷” অনন্তর সকলে মিলিয়া শুভদিনে শুভক্ষণে অধিবাসের লগ্ন করিলেন। স্থান পরিষ্কার করিয়া চন্দ্ৰাতপ দ্বারা আচ্ছাদন করা হইল। চতুর্দিকে কদলীবৃক্ষ রোপণ,