বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/১১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

翰 ੋ ধঃ। ২৫ পরিচ্ছেদ। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । , ❖›8ግ” পশ্চাদহং যদেতচ্চ যে বশিষ্যেত সেহিম্ম্যহং ইতি ॥৫৭ ॥. অহসেব অহমেব শ্লৈাকে তিমধার । পুৰ্ণৈশ্বৰ্য্য বিগ্রহ স্থিতির নিৰ্দ্ধার ॥ যে বিগ্রহ নাহি সালে নিরাকার, মানে । •তারে তিরস্কার করি কৈল নিৰ্দ্ধারণে ॥ ৫৮ ৷ এই সূত্ব শব্দজ্ঞান বিজ্ঞান বিবেক । মায়াকাৰ্য্য মায়া হৈতে আমি ব্যতিরেক যৈছে সুৰ্য্যাভাস স্থানে ভাসয়ে অণভাস। সূৰ্য্য বিষ্ণু স্বতঃ তার না হয় প্রকাশ ॥ মায়াতীত হৈলে হয় । আমার অনুভব। এই সম্বন্ধতত্ত্ব কহিল শুন আর সব ॥ ৫৯ ৷ : তথাহি তত্রৈব ৩৩ শ্লোকে যথা ॥ ন, স্কুল ও সূক্ষ্য জগতের কারণ যে প্রকৃতি, তাহীও তখন ছিল না, তৎকালে ঐ প্রকৃতি অন্তর্মুখত রূপে বিলীন হইয় থাকে, পরস্তু তৎকালে কেবল আমি ছিলাম সত্য,কিন্তু কিছুই করি নাই অর্থাৎ নিক্রিয় । হইয়া থাকি। স্থষ্টির পূৰ্ব্বেও আমি আছি, এই যে জগৎ দেখিতেছ, ইহাও আমিই এবং প্রলয়ে যাহ অবশিষ্ট থাকিবে, তাহাও আমি, ফলতঃ আমি অনাদি, অনন্ত এবং অদ্বিতীয় প্রযুক্ত পুর্ণ স্বরূপ । ৫৭ ৷ শ্লোকে “অহমেব অহসেব” শ্লোকমধ্যে ইহাই তিন বীর উল্লেখ হইয়াছে, ইহাতে ত্রবিগ্রহে পূর্ণিশ্বর্ষ্যের স্থিতি নিৰ্দ্ধারিতরূপে জানিতে হইবে। যে ব্যক্তি বিগ্রহ মানে নু নিরাকার মানে, তাহাকে তিরস্কার করিয়া নিৰ্দ্ধারণ'(নিশ্চয় ) করিলেন । ৫৮ ৷ এই সকল শব্দ জ্ঞান বিজ্ঞান ও বিবেক দ্বার মায় কাৰ্য্য এবং মায়া হইতে আমি ভিন্ন হইয়াছি, যেমন সূর্ঘ্যের আভাস স্থানে অভিাস প্রকাশ পায়, কিন্তু সূৰ্য্যব্যতিরেকে আভাসের স্বতঃ প্রকাশ হয় না, . তদ্রুপ মায়াতীত হইলে আমার অভাব হইয়া,থাকে। এই সম্বন্ধ তৃত্ব, কহিলাম, আর সকল বলি শ্রবণ কর ॥৫৯ ॥ . তথা তত্রৈব ৩৩ শ্লোকে যথা ॥