বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ణ মধ্যমখণ্ড বিশ্বম্ভর। কেহ নাহি দেখে হেন নৃত্য মনোহর ॥ যে দেখে ষে শুনে যেবা গায় প্রভুর সঙ্গে। সভেই ভাসেন প্রেম সাগর তরঙ্গে ৷ এক বৈষ্ণবের যত নয়নের জল। সেই যেন মহাবনা ব্যাপিল সকল । আদ্য শক্তি বেশে নাচে প্ৰভু গৌর সিংহ। মুখে দেখে তার যত চরণের ভূঙ্গ ॥ কম্প স্বেদ পুলক অশ্রুর অন্তনাই মূৰ্ত্তিমতী ভক্তি হৈলা চৈতন্য গোসাঞি নাচেন ঠাকুর ধরি নিতানন্দ হাথ সে কটাক্ষ স্বভাব বলিতে শক্তি কাত ৷ সমুখে দিউড়ি ধরে পণ্ডিত শ্ৰীমান । চতু iদগে হরি দাস করে সাবধান ॥ হেনই সময়ে নিত্যানন্দ হলধর। পড়িল মুচ্ছিত হঞা পৃথিবী উপর। কোথায়ে বা গেল বুডি বডাইর সাজ । কৃষ্ণাবেশে বিহ্বল হইল নাগরাজ ৷ যেই মাত্র নিত্যানন্দ পডিলা ভূমিতে। সকল বৈষ্ণ বগণ কাব্দে চারিভাতে। কি অদ্ভুত হৈল কৃষ্ণ প্রেমের ক্ৰন্দন। সকল করায় প্রভু শ্ৰীশচী নন্দন ৷ কারো গলfধরি কেহো কান্দে উদ্ধরায় । কাহার চরণ ধরি কেহো গডি যায় । ক্ষণেকে ঠাকুর গোপীনাথ কোলে করি। মহালক্ষ্মী ভাবে উঠে খট্টার উপর। সমুখে রহিল সভে যোড় হস্তকরি । মোর স্তব পডবোলে গৌরাঙ্গ ঐহরি। জননী আবেশ বুঝিলেন সৰ্ব্ব জনে । সেই রূপ সৰে স্তুতি করে প্রভু শুনে ॥ কেহ পঢ়ে লক্ষী স্তব কেহো চণ্ডী স্তুতি । সভে স্তুতি করেন যাহার যেন মতি ৷ জয়২ জগতজননী মহাহায় । দুঃখিত জীবেরে দেহ চরণের ছায়। জয়২ অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড কোটশ্বরী । তুমি যুগেই ধৰ্ম্ম রাখ অবতরী ৷ ব্ৰহ্ম৷ বিষ্ণু মহেশ্বরে তোমার মহিমা । বলিতে না পারে অন্যে কি দিবেক সীমা । জগত স্বৰূপ ভুমি তুমি সৰ্ব্বশক্তি। তুমি শ্রদ্ধা দয়া লজ্জ তুমি বিষ্ণু ভক্তি ৷ যত বিদ্যা সকল তোমার মূৰ্ত্তি ভেদ। সৰ্ব্ব প্রকৃতির শক্তিতুমি কহে বেদ । নিখিল ব্রহ্মাণ্ড গণের তুমি সৰ্ব্ব মাতা। কে তোমার স্বৰূপ কহিতে পারে কথা ! তুমি জগত্রয় হেতু গুণ ত্রয় ময়ী। ব্রহ্মাদি তোমারে নাহি জানে কহি কহি । সৰ্ব্বাশ্রয় ভুমি সৰ্ব্ব জীবের বসতি । তুমি অাদ্য অবিকার পরম প্রকৃতি । জগত জননী তুমি দ্বিতীয় রহিতা । মহীৰূপে তুমি সৰ্ব্ব জীব পাল মাত ॥ জলৰূপে তুমি সৰ্ব্ব জt বের জীবন । তোমা সঙরিলে খণ্ডে অশেষ বন্ধন ৷ সাধুজন গৃহে তুমি লক্ষীমৃ ৰ্ত্তিমতী। অসাধুর ঘরে তুমি কাল ৰূপাকুতি । তুমি সে করাহ ত্ৰিজগতে স্বষ্টি স্থিতি। তোমা না ভজিলে পায় ত্ৰিবিধ দুৰ্গতি ৷ তুমি শ্রদ্ধা বৈষ্ণবের সর্বত্র উদয় । রাখহ জননী চরণের দিয়া ছায়। সংসার মায়ায় মগ্ন জগত তোমার তুমি না রাখিলে মাতা কে রাখিবে আর ॥ সভার উদ্ধার লাগি তোমার প্রকাশ দুঃখিত জীবেরে মাত কর নিজদাস ৷ ব্ৰহ্মাদির বন্দ্য তুমি সৰ্ব্বভুত বুদ্ধি। তোম। সঙরিলে সৰ্ব্ব মন্ত্রাদির শুদ্ধি। এইমত স্তুতি করে সকল মহান্ত। বর মুখ মহাপ্ৰভু শুনয়ে নিতান্ত । পুন পুনঃ সভে দণ্ড প্রণাম করিয়া। পুন স্তুতি করে শ্লোক