পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রাহ্মসমাজ পুনৰ্ব্বার দর্শন। ఆe ^-^^^^^^^^^-^బAu مستحبیب سمتحتمهای هری ঈশ্বরের সাধনা করতে হয়। বাড়ীর কাছে এমন একটা আড করতে হয়, যেখানে থেকে বাড়ীতে এসে আমনি একবার ভাত খেয়ে যেতে পার। কেশব সেন, প্রতাপ, এরা সব বলেছিল, মহাশয়, আমাদের জনক রাজার মত, আমি বল্লুম, জনক রাজা অমনি মুখে বল্লেই হওয়া যায় না। জনক রাজা হেটমুও হয়ে আগে নির্জনে কত তপস্যা ক’রেছিল ! তোমরা কিছু কর, তবে তো জনক রাজা হবে। অমুক খুব তবু তবু ক’রে ইংরাজি লিখতে পারে ; তা কি একেবারেই লিখতে পেরেছিল ? সে গরিবের ছেলে, আগে একজনের বাড়ীতে থেকে তাদের রোধে দিতে, আর দুটা দুটী খেতো, অনেক কষ্টে লেখা পড়৷ শিখেছিলো, তাই এখন তর তর ক’রে লিখতে পারে। “কেশবসেনকে আরও বলেছিলুম, নির্জনে না গেলে, শক্ত রোগ সারৰে কেমন ক’রে ? রোগটা হচ্ছে বিকার। আবার যে ঘরে বিকারী রোগী, সেই ঘরেই আচার তেঁতুল, আর জলের জালা ! তা রোগ সারবে কেমন ক’রে ? আচার তেঁতুল—এই দেখো, ব’লতে ব’লতে আমার মুখে জল এসেছে। (সকলের হাস্ত)। সম্মুখে থাকলে কি হয়, সকলেই তো জান! মেয়েমাহৰ পুরুষের পক্ষে এই আচার তেঁতুল, আবার ভোগ-বাসনা জলের জালা বিষয়তৃষ্ণার শেষ নাই, আর এই বিষয় রোগীর ঘরে। এতে কি বিকার রোগ সারে ? দিন কতক ঠাইনাড়া হয়ে থাকতে হয়, যেখানে আচার তেঁতুল নাই, জলের জ্বালা নাই। তারপর নীরোগ হয়ে আবার সেই ঘরে এলে আর ভয় নাই। র্তাকে লাভ ক’রে সংসারে এসে থাকলে, আর কামিনী-কাঞ্চনে কিছু করতে পারে না। তখন জনকের মত নিলিপ্ত হতে পারবে । îi “কিন্তু প্রথমাবস্থায় সাবধান হওয়া চাই। খুব নির্জনে থেকে সাধন করা চাই। অশ্বখগাছ যখন চারা থাকে, তখন চারিদিকে বেড়া দেয়, পাছে ছাগল গরুতে নষ্ট করে। কিন্তু গুড়ি মোটা হ’লে আর বেড়ার দরকার হয় না। হাতী বেঁধে দিলেও গাছের কিছু করতে পারে না। যদি নির্জনেতে সাধন ক’রে ঈশ্বরের পাদপদ্মে ভক্তিলাভ ক’রে, বল বাড়িয়ে, বাড়ী গিয়ে সংসার কর, তাহলে কামিনীকাঞ্চনে তোমার কিছু করতে পারবে না। . “নির্জনে দৈ পেতে মাখম তুলতে হয়। জ্ঞানভক্তি রূপ भाथम् যদি একবার মন রূপ দুধ থেকে তোলা হয়, তাহলে সংসাররূপ জলের উপর রাখলে f#fศa হ’য়ে ভাসবে । কিন্তু মনকে কাচা অবস্থায়—দুধের অৰস্থায় नि