পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীসনাতন গোস্বামী নয়নে কৃষ্ণ,—আমার ভিতরে বাহিরে কৃষ্ণ, আমার চারিদিকে কৃষ্ণ—” বলিতে বলিতে প্রভুর কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিল । সভাস্থ সন্ন্যাদিগণের হৃদয়মধ্যে একটা ক্ৰন্দনের মুর বাজিয়া উঠিল । প্রভু বলিতে লাগিলেন, “আমি অবশেষে কথন হাস্ত, কখন ক্ৰন্দন, কখন নৃত্য, কখন গান করিতে লাগিলাম ; আমার তনু মন এলাইয়া গেল ; ক্রমে পাগল হইলাম। তখন আমি ভীত হইয়া পুনরায় গুরুর শরণাপন্ন হইলাম। তাহার চরণে নিবেদন করিলাম, প্রভু আমাকে এই কৃষ্ণনাম হতে পরিত্রণ কর ; দিবারাত্র আমার কাণে কৃষ্ণনাম ঝঙ্কৃত হচ্ছে, আমি আর কিছু শুনতে পাই না ; কণ্ঠ আমার অবিরাম কৃষ্ণনাম বলছে, আমি তা’কে রোধ করে রাখতে পারি না । কৃষ্ণনাম শুনলে চরণ আমার নেচে উঠে, বস্তার জল আমার নয়ন হ’তে উথলে পড়ে, মন পাগল হয়, দেহ এলিয়ে পড়ে। গুরুদেব, আমায় রক্ষা কর, এ কৃষ্ণনাম হ’তে পরিত্রাণ কর । গুরুদেব আমার সকল কথা শুনিয়া বলিলেন, “তোমার এ বিপদ নয়, সম্পদ ; তোমার মন্ত্র সিদ্ধ হইয়াছে। ব্ৰহ্মার দুর্লভ কৃষ্ণপ্রেম তুমি লাভ করিয়াছ ; সহস্ৰ বৎসর তপস্তা করিয়া যে পঞ্চম পুরুষাৰ্থ লাভ করা সম্ভব হয় না, তাহা তুমি কৃষ্ণনাম জপ করিয়া পাইয়াছ। গুরুর আজ্ঞা পাইয়া কৃষ্ণনামকে আমি আরও দৃঢ়ভাবে জড়াইয়৷ ξ ο <