পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়—আহবান উঠিলেন, “ওই যে বাণী আবার বেজে উঠেছে—সব ভাসিয়ে, সব ডুবিয়ে বাশী আবার তরঙ্গ নিয়ে ছুটেছে । আকাশ পৃথিবী সব নিস্তব্ধ, শুধু স্বরতরঙ্গ ! আহ! কি সুন্দর, কি মধুর!” রঘুনাথ সুর শুনিতে শুনিতে বিহ্বল হইলেন। সহসা বাণী নীরব হইল, স্থর ভাসিতে ভাসিতে দিকদিগন্তের গর্ভে মিলাইয়৷ গেল। রঘুনাথ মাথা তুলিয়া মুক্ত বাতায়ন-পথে শূন্ত আকাশ পানে চাহিলেন । বুঝি মুরকে খুজিতে লাগিলেন। অনন্ত আকাশের সামান্য একটু স্থানে আঁথি ও মন আবদ্ধ করিয়া সুর অথবা সুরের দেবতাকে অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । সহস দেখিলেন, সেই সামান্ত স্থানটুকুতে নীলাকাশ উদ্ভিন্ন করিয়া একটা স্বর্ণবৰ্ণজ্যোতিঃ প্রকাশ পাইল । প্রথমে অস্পষ্ট, ক্রমে স্পষ্ট হইয়া আকাশতলে ফুটিয়া উঠিল। জ্যোতিঃ ধীরে ধীরে অবয়ব গ্রহণ করিল। রঘুনাথ চীৎকার করিয়া উঠিলেন ; বলিলেন ; “এ কি ! এ যে একখানি হাত ! কি সুন্দর ! কি জ্যোতিৰ্ম্ময় ! এ দে আমার প্রভুর হাত ! সহসা আকাশে কেন ? ও কি ! আমাকে ডাক্‌ছ ? আমার সময় হ’য়েছে দয়াল ? যাই, ঘাই, প্রভূ—” রঘুনাথ ক্ষিপ্তের ন্যায় উঠিয়া ছুটলেন ; গোবৰ্দ্ধন তাহার পথরোধ করিয়া দাড়াইলেন ; বলিলেন, “কোথা যাও রঘু ?” রঘুনাথ উত্তেজিত হইয়া কহিলেন, “সরে যাও, পথ ছেড়ে দেও, প্রভু আমাকে ডাকছেন।” ২৩৫