পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়—সনাতন বৃন্দাবনে এস্থান করিলেন। সনাতন চিত্ৰপুত্তলিকার স্তায় দাড়াইয়। ব্রাহ্মণের আনন্দ দেখিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণ কিয়দর অগ্রসর হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন, “আচ্ছা, মণি ত পেলাম ; কিন্তু ভিক্ষাজীবী দরিদ্র গোসাই এমন অমূল্যধন আমায় দিলে কেন ? প্রতারণ করে নি ত? পরখ করে দেখাই যাক না। এই যে আমার হাতেই মাজুলী আছে ; বাঃ, স্পর্শ মাত্রেই সোণ ! না, ঠকায় নি। কিন্তু—কিন্তু দিলে কেন ? যে রত্ন বাদসার ভাণ্ডারে নেই, সে রত্ন দিলে কেন ? নিজে রাখলেই ত পারত ! , 艇 ‘রাখিবার কায থাকুক স্পর্শ নাহি করে .." স্পর্শের থাকুক কায ঘৃণায় না হেরে।’ মণির চেয়ে কোন বড় জিনিষ নিশ্চয় গোসাই পেয়েছেন। আমিও কেন সেই বস্তুর কামনা করি না ? দেখছি ঠাকুরের কাছে যা’ কামনা করা যায় তাই পাওয়া যায় ; ধন চেয়েছিলাম তিনি ঢেলে দিলেন। এবার তাকে চেয়ে দেখি না? ছি ছি, আমি তুচ্ছ বস্তুর এতটা লোভ করেছিলাম। দূর হও মণি, আমি আর তোমায় চাই না । গোসাই, গোসাই, (মণি নিক্ষেপ পূর্বক ফিরিয়া আসিয়া ) আমি তোমার ও তুচ্ছ মণি চাই না—আমি সেই মণির মণি নীলকান্তমণিকে চাই—আমায় কৃপা কর।” সনাতন তখন সেই ব্রাহ্মণকে গাঢ় আলিঙ্গন করিয়া কৃষ্ণমন্ত্র দান করিলেন । ഴ്ക് :ፃ¢