পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল-তমানি “তুমি বল কি ঠাকুর ! যেতে হয় তুমিই যাও। আমি পুরুত ঠাকুরের বাড়ী খবর না দিয়ে যাচ্চিনে!” “ওরে বেটা গয়লা, শোন! মুধু এ তেল-কুচকুচে সাড়ে চারহাত পাক বাঁশের লাঠী, আর বাবড়ী চুল, আর ঐ কোমরে গোট থাকলেই সর্দার হয় না রে বেটা ! সর্দার ত এই শীতল ঠাকুর ” এই বলিয়া সে তিন লাফ দিয়া নিজের বুকে দুই:চপেটাঘাত করিল। তাহার পর বলিল “ওরে ব্যাটা, সে-দিন একটা বাজে মামলা জিতে একেবারে বাবড়ী নেড়ে নাচতে-নাচতে এসেছিলি! ভারি ত একটা মামলা ! তাতে সাত আনির আর কি হয়েছে। আজ যে ব্যাটা একেবারে বাজী মাৎ ! হাঃ-হাঃ হাঃ !” গোপাল, বলিল, “কি বাজী মাৎ দাদাঠাকুর ।” “হ্যা, এখন পথে এস বাবা, তোদের গিল্পী-মা এই বিশ বছরে যা করতে পারেন নি, বুঝলি গোপাল ! এই শৰ্ম্ম৷ হাঃ-হাঃ হাঃ” বলিয়৷ শীতল তাল ঠুকিল। গোপাল বলিল “তই কি ?” “কি ? তোর বাবার মাথা ! তোদের সাত-আনিকে একেবারে এককড়া কাণ-কড়ি করে দিয়ে এই এলাম। সে ভারি মজা ! হাঃ-হাঃ!হাঃ * , গোপাল বলিল “যাক্ গে, তোমার ও ঝোকের কথা আর দাড়িয়ে শুনতে পারছিনে। আমি চল্লাম!” এই বলিয়া গোপাল সর্দার পুরোহিত মহাশয়ের বাড়ীর দিকে যাইতে লাগিল। শীতল বলিল “যা বেটা গয়লা ! ঐ যে কি বলে না—অরসিকের \ > Y