পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬ ] দেবীপুরের সাত-আনির জমিদার প্রবল-প্রতাপ, মহামহিম শ্ৰীযুক্ত মনোহর চট্টোপাধ্যায় মহাশয়কে আর জেলার ধৰ্ম্মাধিকরণে হাজির হইতে হইল না ; বৃটিশ গবর্ণমেণ্টের সুরেন্ট অপেক্ষাও বড় ওয়ারণ্টে অকস্মাৎ তাহার উপর জারী হলে ; এ ওয়ারেন্টে জামিনে থালাসেরও ব্যবস্থা নাই । বিশ্বনাথের আদাল ত হইতে দূত আসিয়া তাহার সম্মুখে হঠং গজির হইলেন ; তিনি জাল দলিল এবং তদপেক্ষাও গুরুতর ও লঘুতর অনেক অভিযোগের উত্তর দিবার জন্ত বিশ্বনাথের ধৰ্ম্মাধিকরণে হাজির হইবার জন্ত একাকী চলিয়া গেলেন ; সঙ্গে উকীল-মোক্তার বা দলিল-দস্তাবেজ লইয়া যাইবারও সময় হইল না। সেখানকার বিচারে কি হইল, সে সংবাদ উপন্যাস-লেখকের জানিবার সৌভাগ্য এখনও হয় নাই । জজ-আদালতের হুকুম যপন মনোহর বাবুর নিকট পৌছিল, তপন তিনি বৈঠকখানার বারান্দায় একখানি চেয়ারে বসিয়া ধূমপান করিতেছিলেন । জেলা-প্রত্যাগত কৰ্ম্মচারা এই নি দারুণ সংবাদ তাহার নিকট বলিবামাত্র তিনি “সিধু রে--”বলিয়া চীৎকার করিয়াই চৈতন্যহার হইলেন, হাতের হু কাটা পড়িয়া গেল ! চেয়ার হইতে পড়িয়া যাইবার উপক্রম করিতেই চাকরেরা আসিয়া তাহাকে চেয়ার হইতে তুলিয়া ধরাধরি করিয়া বিছানায় শোয়াইয়৷ > ○○