পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নোল-তমালি করেছে। এখন বোমা মারা গেলেন, আর আমার ছেলে পুনরায় বিবাহ করবে ? তা হ’তেই পারে না। তাকেও চিরদিন বিপত্নীক থাকৃতে হবে। এই আমি বলি। শাস্ত্র যাহাই বলুক, সকলের উপরে আর এক শাস্ত্র আছে ; সে শাস্ত্রের বিধান—দাম্পত্য-বন্ধন কখন ছিন্ন হয় না। স্বামীর মূৰ্ত্তি পূজা করে বিধবা যেমন জীবন কাটাবে, স্ত্রীর মূৰ্ত্তি পূজা করেও বিপত্নীককে তেমনি জীবন কাটাতে হবে । সেই জন্তই আমি সি:দ্ধশ্বরকে সন্ন্যাসী সাজাচ্ছি।” বাঙ্গালী মায়ের মুখনিঃস্বত এমন কথা কেহ কোন দিন শোনে নাই। হরিদ্র রমামুন্দরীর পদধূলি গ্রহণ করিয়া ভক্তি গদগদ কণ্ঠে বলিল “আর তোমাকে জ্যেঠাইমা বলব না, তুমি শাপভ্রষ্ট দেবী ! আমরা ধন্য যে, তোমাকে এতদিন বেঁধে রেখেছিলাম, কিন্তু তোমাকে চিনতে পারিনি মঙ্গলময়ী ! জগদ্ধাত্রী !” সিদ্ধেশ্বর বলিলেন "হরিহর, আমি জানতাম না যে, আমার মায়ের ভিতর এমন মহাশক্তি রয়েছে । আজ তোমার উপলক্ষে মা আমার আর এক মূৰ্ত্তিতে দেখা দিলেন । সত্যসত্যই আজ আমি ধন্য হয়ে গেলাম হরিচর ” সকলেই কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রছিলেন। তাহার পর সিদ্ধেশ্বর বলিলেন “হরিহরের সহিত মুহারের বিবাহ যখন এক বৎসর পরে হবে, তখন এ কথা এখন আর রাষ্ট্র করে কাজ নেই। বিবাহের সময়কালে সমস্ত প্রকাশ করলেই হবে।” তাহাই স্থির হইল । হরিহর ও মুহারের শিক্ষার ভার সিদ্ধেশ্বর S C 8