পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 *开颈1 অপরিমিত সুখ মনুষ্য ভাগ্যে প্ৰায় ঘটে না, অপরিমিত সুখের সময় মনুষ্য হৃদয়ে এইরূপ ভয়ের উদয় হয়। , বাটী আসিবামাত্র শরতের ভূত্য শরতের হস্তে এক খানি পত্র দিল। স্থূরতের হৃদয় সহসা স্তম্ভিত হইল, কেন হইল শরৎ তাহা জানেন না । উপরে গিয়া বাতির আলোকে শরৎ দেখিলেন তাহার মাতার চিঠি। মাতা গুরুকে দিয়া পত্ৰ লিখাইয়াছেন। পত্র এইরূপ “বাছা শরৎ ! তুমি সুস্থ শরীরে কুশলে থাক, তোমার চেষ্টা সফল হয়, তোমার জীবন সুখময় হয়, তাহাই ভগবানের নিকট দিবারাত্ৰি প্ৰাৰ্থনা করিতেছি । “বাছা, আজ একটা নিন্দার কথা শুনিয়া মনে বড় ব্যথা পাইলাম। বাছা শরৎ, তুমি ভাল ছেলে, তুমি মাকে ভালবাস, আমি এ নিন্দার কথা বিশ্বাস করি না ; তুমি তোমার অভাগিনী মাতাকে কষ্ট দিবে না। “লোকে বলে তুমি সুধাকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিয়াছ। বাছা এটুী অধৰ্ম্মের কথা, এ কাযটা করিয়া তোমার বাপের নিৰ্ম্মল কুলে কলঙ্ক দিও না, তোমার মা যত দিন বেঁচে আছে তুাহাকে তুমি, কষ্ট দিও না। বাছা, তুমিত কথার অবাধ্য ছেলে নওi “বাছা শরৎ, আমি অনেক কষ্ট সহ্য করিয়াছি। তোমার বাপ আমাকে কাদাইয়া রেখে গিয়াছেন, বাছা কালীর যে অবস্থা তাহা তুমি জান। তুমি আমার হৃদয়ের ধন, তোমার আশায় বেঁচে আছি, এ বয়সে তুমি আমাকে কাদাইও না, আমার অধিক দিন বঁাচিবার নাই ।