পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসার । খাইয়া আসিয়াছি। আর কি খাইতে পারি? যাও তুমি যাও DDSDLD DLDB DBDB DBDBS DBB BBu BBDBDDSS বিন্দু রান্না ঘরে গেলেন। সুধা হেমচন্দ্রের জন্য এতক্ষণ জাগিয়াছিল, এখন রকের উপর একটী মাদুর পাতিয়া শুইল, চিন্তাশূন্য বালিকা শুইবামাত্র সেই শীতল নৈশ বায়ুতে ও শুভ্র বৰ্ণ চন্দ্ৰলোকে তৎক্ষণাৎ নিদ্রিত হইয়া পড়িল । সমস্ত তালপুখুর গ্রাম এখন নিস্তব্ধ এবং সেই সুন্দর চন্দ্ৰকরে নিদ্ৰিত । হেমচন্দ্র ও শরচ্চন্দ্র সেই রকে উপবেশন করিয়া অনেকক্ষণ কথাবাৰ্ত্তা করিতে লাগিলেন। তালপুখুরের ঘোষ বংশ ও বসু বংশের মধ্যে বিবাহ সুত্রে সম্বন্ধ ছিল ; হেম ও শরৎ বাল্যকালে পরস্পরকে জানিতেন, ও প্রীতি করিতেন। এক্ষণে ক্ষণেক কথাবাৰ্ত্তার পর হেমচন্দ্র, উন্নত-হৃদয়, বুদ্ধিমান, ধীরপ্রকৃতি ও দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞ শরচ্চন্দ্রের অন্তঃকরণ বুঝিতে পারিলেন ; শরচ্চন্দ্ৰও হেমচন্দ্রের উন্নত, তেজঃপূর্ণ অন্তঃকরণ জানিতে পারিলেন। এ জগতে আমাদিগের অনেক আলাপী লোক আছে, মনের ঐক্য অতি অল্প লোকের সহিত ঘটে, সুতরাং হৃদয়ের অনুরূপ লোক দেখিলেই হৃদয় সহসা সেই দিকে আকৃষ্ট হয়। হেমচন্দ্ৰ ও শরচ্চন্দ্ৰ যতই কথাবাৰ্ত্তা করিতে লাগিলেন ততই তঁাহাদিগের হৃদয় পরস্পরের দিকে আকৃষ্ট হইতেছিল, হেম শরৎকে কনিষ্ঠ ভ্রাতার ন্যায় দেখিতে লাগিলেন, শরৎ, হেমকে জ্যেষ্ঠের ন্যায় ভক্তি করিতে লাগিলেন। তঁহাদের পরষ্পর কথোপকথন হইতে হইতে বিন্দু আহারাদি সমাপন করিয়া ভুখায় আসিয়া বসিলেন ; সুধার মাথায় বালিশ ছিল না, সুপ্ত