পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 S তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী varroquias নিমে পৰ্ব্বতবেষ্টিত স্থানে উহা ত্ৰিধারা গঙ্গা নামে খ্যাত ; কিন্তু এই তিনটী ধারা আবার পৃথক পৃথকৃ নামে অভিহিত হইয়াছে ; যথাসন্ধ্যা, ললিতা ও কস্তা । এই সকল জলধারাগুলি প্রস্তরোপরি প্রবাহিত হওয়ায় এবং ঐ সকল প্ৰস্তরখণ্ডগুলি জলমগ্ন না হইয়া এক একটী গিরিশৃঙ্গের ন্যায় জাগিয়া অতীত ঘটনার সাক্ষ্য দিতেছে । কথিত আছে, ঐ সকল পৰ্ব্বতশৃঙ্গের উপর বসিয়া মহামুনি বশিষ্ঠদেব তপস্যা করিতেন। এক্ষণে যাত্ৰীগণ অদ্যাপিও সেই বশিষ্ঠদেবের একটী পবিত্র পাষাণময় মূৰ্ত্তি দর্শন পাইয়া থাকেন, আর এই পবিত্ৰ মূৰ্ত্তির দর্শনের কাঙ্গাল হইয়া ভক্তগণ এই ভয়াবহ স্থানে আসিয়া থাকেন । যে বিশিষ্ঠ ব্ৰহ্মার প্রাণ হইতে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, র্যাহার ক্ৰোধাগ্নিতে পতিত হইয়া বামদেবকে গুহক চণ্ডালরূপে জন্ম গ্ৰহণ করিতে হইয়াছিল, যিনি ইক্ষু বংশীয় সুৰ্য্যকুল পুরোহিত ছিলেন, যে মহাতপা বশিষ্ঠের অভিশাপে ভগবান মহেশ্বরকে মোচাছরূপে বিহার করিতে হইয়াছিল, এবং দেবী উগ্ৰতারা বিরুদ্ধভাবে পূজিত হইয়াছিলেন, আজ সৌভাগ্যক্ৰমে সেই দেবের পাষাণময় পবিত্ৰ মূৰ্ত্তি স্বচক্ষে দর্শন করিয়া নয়ন ও জীবন नॉर्थक कवि ढांभ । ভগবান বশিষ্ঠদেব যখন এই স্থানে অবস্থান করিতেন, ৪ খন এই আশ্রমটা নানাবিধ ফল ফুলে সুসজ্জিত ছিল। এক্ষণে যৎসামান্য আম, কঁঠাল, কদলী বৃক্ষ এবং ফুল, তুলসী ও জবা বৃক্ষাদি দণ্ডায়মান থাকিয়া ইহাই যে বশিষ্ঠাশ্ৰম, তাহার প্রমাণ দিতেছে। মন্দিরের সম্মুখভাগে নাটমন্দিরে ব্ৰহ্মার পাষাণময় চতুভূজ মূৰ্ত্তির দর্শন পাওয়া যায়। মন্দিরাভ্যন্তরে বশিষ্ঠদেবের পাষাণময় মূৰ্ত্তি, বামে তারাদেবী ও জলমগ্ন শিব, দক্ষিণে গঙ্গা ও জলমগ্ন শিবালয় ; দেবালয়ের গাত্রে বাস্তু দেব নারায়ণ ও মহাদেবের মূৰ্ত্তি বিরাজমান।