পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্ৰশেখর ଈପ୍ସିତ চন্দ্রনাথ পাহাড়ের যে শৃঙ্গে ভগবান চন্দ্ৰশেখরজীউ বিরাজ করিতেছেন, সেই অত্যুচ্চ শৃঙ্গ টা সমতলভূমি হইতে অনু্যান এক হাজার এক শত পোনের ফিট উচ্চে অবস্থিত। স্থানীয় পূজারীদিগের নিকট উপদেশ পাইলাম, এহ মন্দিরটিী কামাখ্যাদেবীর মন্দির যে পাহাড়ে অবস্থিত, তাহা অপেক্ষা দ্বিগুণ উচ্চে প্ৰতিষ্ঠিত । চন্দ্রনাথদেবের মন্দিরটিী দেখিতে ঠিক স্বয়ম্ভুনাথের মন্দিরের ন্যায় ত্ৰিপ্ৰকোষ্ঠে বিভক্ত। পাণ্ডার নিকট অবগত হইলাম, সৰ্ব্বপ্রথমে এই চন্দ্রনাথদেবের মন্দিরটি ত্রিপুরাধিপতি ধন্য মাণিক্য বাহাদুর অকাতরে বহু অর্থ ব্যয়সহকারে নিৰ্ম্মাণ করাইয়া প্ৰতিষ্ঠা করেন, এবং প্রভুর নৈমিত্তিক পূজা নির্বাহের জন্য কতকগুলি ভূসম্পত্তিও প্ৰদান করেন, সেই আয়ের দ্বারা যথানিয়মে ভগবানের পূজা হইত। ৬ চন্দ্ৰনাথ প্ৰতিষ্ঠিত লিঙ্গ পূর্বে এখানে যে স্থানে ছিলেন, এক্ষণে তিনি সেই স্থানে নাই ; কারণ একদা কালপাহাড় সদলবলে এখানে উপস্থিত হইয়া উক্ত প্ৰতিষ্ঠিত লিঙ্গসঙ্ক মন্দিরটি ধ্বংস করিয়া দেন ; তাৎপরে তাহারই অল্প ব্যবধানে বৰ্ত্তমান মন্দিরটিী এই জেলার অন্তৰ্গত। সারায়াতলী গ্রামের রামসুন্দর সেন নামে জনৈক পুণ্যাত্মা নিজ ব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করাইয়া শিবলিঙ্গট পুনঃপ্রতিষ্ঠাপুৰ্ব্বক আপনি কীৰ্ত্তি স্থাপন করেন। এখান হইতে চতুর্দিকের প্রাক্কতিক দৃশ্য অতি মনোহঁর । এই অত্যুচ্চ চন্দ্রনাথের মন্দির হইতে ইতস্ততঃ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে দিগদিগন্ত পরিপূরিত ব্যাস সুধিনালয় দেখা যায়, “চন্দ্রনাথ” তীর্থ কি রমণীয় স্থান ! কে বল হিন্দু ਜ, প্ৰাকৃতিক সৌনদৰ্য্যে র্যাহার মন আকৃষ্ট হয়, শান্ত প্ৰকৃর্তি द्र भूङ বাতাসে র্যাহার শান্তিলাভ হয়, পৰ্ব্বত র্তাহার তীৰ্থক্ষেত্র। অনভ্যস্ত ব্যক্তির পাৰ্ব্বতারোহণ যেমন কষ্ট সাধ্য, অদৃষ্ট ব্যক্তিম পৰ্ব্বত দর্শন ও সেইরূপ আশ্চৰ্য্য, আবার পর্বত্যানিভিজ্ঞ লোকের