পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So তীর্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী |— — — —n hơn: নীলতার সিদ্ধি বর্ণের ন্যায় দুরে মহাচক্ৰে মিশিয়াছে—যে দিকে পড়ে, কেবল অনন্ত সাগর ; মাথার উপর অচঞ্চল অনন্ত নীলাম্বর, পদতলে সচঞ্চল অনন্ত নীল রত্নাকর—-নীলিময়-নীলিময়ে অপূৰ্ব্ব সম্মিলন, অনন্তে অনন্তে যেন প্ৰেমালিঙ্গন, কি মহান! কি সুন্দর । অনন্ত অপরিমেয়, সৰ্ব্বব্যাপী সব্বশক্তিমান জগৎস্রষ্টা র সৃষ্টি রহস্যের অনন্তত্ব এই সাগর বক্ষে নীলাকাশের তলে যেমন হৃদয়ঙ্গম হয়, এমন অ্যার কিছুতে হয় কি ? নীলাকাশ বিশ্বরূপ অনন্তের মহাভাগ-নীলাম্বস্বামীর অনন্ত তরঙ্গোচ্ছিায়া অনন্তের স্বচ্ছ প্ৰতিবিম্ব, সমুদ্র বারির তরঙ্গু ভঙ্গে শা-শা-শা-শ্যা অনন্ত অস্ফুট অব্যক্ত মধুর সঙ্গীতে কি অনন্ত স্মৃতি জাগরিত করিয়া দেয়, ইহা যেন অনন্ত স্বপ্ন রাজ্যের সৃষ্টি বলিয়া মনে হইতে লাগিল । কিন্তু হায়! আমাদের সকল কার অদৃষ্টে বিধাতা অধিকক্ষণ এ সৌন্দৰ্য্যোপভোগ লিখেন নাই ; এখানে এই অতল সমুদ্র বক্ষে ষ্টীমারখানি মোচার খোলার মত ভয়ঙ্কর দোলায় সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করা: দুরের কথা—তখন মনে হইতে লাগিল, ভালয় ভালয় শুইতে পারিলে বাচি । সঙ্গীর মধ্যে কেবল কয়েক ঝাক সামুদ্রিক মৎস্য এক স্থান হইতে অপর স্থানে উডায়মান হইয়া দশকবৃন্দকে কৌতুক দে, ইতেছে, গুটিকত শুশুককে ও ভাসিতে দেখিলাম, আর জন-প্ৰাণীর মধ্যে আমরা এই ষ্টীমারপূর্ণ যাত্রী লোক, তাহদের মধ্যে অনেকে শুহিয়া পড়িয়াছেন, অনেকে বমি করিতেছেন, এই সমস্ত দেখিয়া-শুনিয়া ভয়ে কেবল ভািগবান আদিনাথের শ্ৰীচরণ ধ্যান করিতে 'লাগিলাম, তখন বিষদভাবে বুঝিলাম, পাণ্ডা ঠাকুর কি নিমিত্ত স্ত্ৰীপুত্ৰ লইয়া এ তখী স্থানে যাইতে আমাদিগকে নিষেধ করিয়াছিলেন । আমার কিঞ্চিৎ মস্ত ক ঘুর্ণন ভিন্ন এমন কোনরূপ উল্লেখযোগ্য অসুখ হয় নাই। ষ্টীমারখানি দুই ঘণ্টার ।