পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 88 তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী −. বলম্বী-ত্যাহাদের একমাত্র উপাস্য দেবতাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্ৰদৰ্শন করাইবার জন্য মন্দিরের এক পাশ্বে যে একটা প্ৰকাণ্ড ধুনচি আছে, তাহার মধ্যে ভক্ত মাত্ৰেই ধুনামিশ্রিত ঘৃতাহুতি প্ৰদান করিয়া দেবতাকে শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রদর্শন করিয়া থাকেন, এই নিমিত্ত উক্ত ধুনচির অগ্নি ক খন নিৰ্ব্বাণ হয় না । সহর হইতে বহির্গত হইয়া প্ৰথমেই মল রোডে উপস্থিত হইলাম, তৎপরে যতই অগ্রসর হইতে লাগিলাম, ততই ইহার সৌন্দৰ্য্য দেখিতে দেখিতে চমৎকৃত হইতে লাগিলাম । আহা ! সেই প্ৰশস্ত পথের কি রমণীয় দৃশ্য ! ইহার কি য়ুদূর অগ্রসর হইয়াই রাস্তার উপরিভাগে উত্তরদিকে বাঙ্গালার রাজ প্রতিনিধি ছোট লাট বাহাদুরের বিখ্যাত গ্ৰীষ্মাবাস ভবন শোভা পাইতেছে । অপরাহ কালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাহেব বিবিগণ ও বিবিধ জাতি বিচিত্ৰ জাতীয় পরিচ্ছদে বিভূষিত হইয়া যখন বায়ুসেবনের জন্য এই রমণীয় পথে বিচরণ করিতে থাকেন, তখন এই রাস্তা এক অপূৰ্ব্ব শ্ৰীধারণ করে। পথিকদিগের পতন ভয় দুর করিবার জন্য মিউনিসিপাল বোর্ড হইতে পাহাড়ের ঢালুদিকে বরাবর কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত রেলিং প্রথিত আছে, আবার মধ্যে মধ্যে ইহা উপর অনেক গুলি বিশ্রাম-মণ্ডপ প্ৰতিষ্ঠিত থাকায় - সকলেই অ’ ! এধ তথায় বিশ্রাম করিবার সময় সাদায় কালায় পরস্পর পারস্পরের সহিত আলাপ পরিচয়ে কত আনন্দ অনুভব করিয়া থাকেন, তাহার ইয়ত্ত নাই। সূৰ্য্যাস্ত গমনের কিছু পূর্বে মল রোডে যে চৌরাস্তা আছে, সেই চৌরাস্তা এবং পার্শ্ববৰ্ত্তী স্থান সমূহের অভিনব শ্ৰী নয়নপথে পতিত হইলে, এবং করুণাময় পরম পিতা জগদ্বীশ্বরের সৃষ্টি মহিমা দর্শন করিলে আত্মহারা হইতে হয় । এই উচ্চ পৰ্ব্ব ৩্য প্রদেশ দাৰ্জিলিং সহরে যাহা কিছু দেখিবেন, উহাতেই মুগ্ধ হইবেন সন্দেহ নাই । সেই প্রশস্ত প্রধান