পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দার্জিলিং বা ভগবান দুর্জ Tালিঙ্গ দর্শন যাত্ৰা ১৪, ৭ rr হইবার সময় স্থানে স্থানে পাহাড় শাত্রে বাধা পাইয়া যেন আছাড়ি খাইয়া কল কলিনাদে আপন মনে প্রবাহিত হইতেছে। ই হার চতুদিকেই গিরি-শৃঙ্গ । নুতন যাত্রীদিগকে তাহার সৌন্দয্য দেখাইবার জন্য উচ্চশিরে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। পৰ্ব্বতের মধ্যভাগে রেলিং ঘেরা একটা অ প্ৰশস্ত পথ, সেট পথের স্থানে স্থানে এই স্রোতগামী কোক কোরার মনোহর দৃশ্য দেখিবার নিমিত্ত এবং দর্শকদিগের বসিবার সুবিধার জন্য বিস্তর বেঞ্চ পাতা আছে। ঐ সকল বেঞ্চের উপর বসিয়া আহিলাদিত মনে সেই কোক ঝোরার ফেণপুঞ্জ স্রোতের মনোহর দৃশ্য নয়নগোচর হইলে আনন্দে অধীর হইতে হয় । বোধ হয় লীলাময়- হতাশ রুগ্ন। যাত্রী, যাহার এখানে স্বাস্থ্য পরিবর্তনের জন্য আসেন,-তাহাদিগকে রোগ, শোক, তাপ প্ৰভৃতির কবল হইতে আনন্দোৎপাদনের নিমিত্ত, এই নিজজন স্থানে এরূপ একটা অদ্ভুত ঝরণার সৃষ্টি করিয়াছেন। কোক ঝোরার অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্য এইরূপে নয়নগোচর করিয়া ইহার অনতিদূরে একটী সুন্দর সুসজ্জিত বাটী দেখিতে পাইয়া সেইদিকেই অগ্রসর হইলাম। স্থানীয় লোক দিগের নিকট উপদেশ পাইলাম, এই সুন্দর বাড়ীখানি বৰ্দ্ধমানাধিপতির । ইহা এক অপূৰ্ব্ব সাজে সজ্জিত হইয়া “রোজ ব্যাঙ্ক” নামে শোভা পাইতেছে। অবগত হইলাম, মহারাজ অবসর মত সদলবলে এখানে এই বাটীতে উপস্থিত হইয়া বিশ্রাম সুখ অনুভব করিয়া থাকেন । রাজবাড়ীর আর ও কিছু উপরিভাগে ভাগ্যবান লালা বনবিহার কাপুর মহাশয়ের পাৰ্ব্বত-আবাস, তাহার পরই বৰ্দ্ধমান রাজষ্টেটের কাছারী বাড়ী বিরাজিত । এই কাছারী বাড়ী হইভে আরও কিঞ্চিৎ উপরে আরোহণ করিলেই রেল লাইন দৃষ্টিগোচর ৷৷ হইতে থাকে। R রেল পথের দক্ষিণদিকে যশ ভাগ্যমান বাঙ্গালীর গ্রেীষ্মব সিভিলিয়ান সার রমেশচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয়ের “লাসাভিলা” নামক