পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বে ቅgSዓ =فظ মান ক্রিয়া সম্পন্ন করিলাম। ইহার পর তাহার সহিত সমুদ্রতীরবস্ত্ৰী স্থান, যাহা যাদ ধ্বদিগের মহাশ্মশান নামে কথিত,সেই দশ কোটী তীর্থের সন্মিলন স্থান-যে স্থান “প্ৰভাস সঁঙ্গমতীৰ্থ” নামে প্ৰসিদ্ধ ; যে তীর্থে সতত ত্ৰিবেণীগঙ্গা বিরাজিতা,যে পুণ্যময় স্থানে এই ত্ৰিবেণীগঙ্গার সহিত মহা পাপক্ষয় কারিণী পঞ্চনদীর সহিত সাগরের সঙ্গম হইয়াছে, অর্থাৎ ত্ৰিবেণীগঙ্গায় পুণ্যতোয় হিরণ্য, ব্ৰজনি, লঙ্কোবতী, কপিলা ও সরস্বতী এই সকল পুণ্যতোয় পঞ্চনদী যথায় একত্ৰ হইয়া সাগরের সহিত মিলিত হইয়াছেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই সকল নদীগুলি সমুদ্রতীরবত্তী হইলেও স্থানমাহাত্ম্যগুণে ইহাতে তরঙ্গ ভঙ্গ কোন কিছুই দেখিতে পাইলাম না, যেন তঁাহারা পরম পুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণের অভাবে এক মনে স্থির ভাবে তাহারই বিষয় চিন্তা করিতেছেন । সে যাহা হউক, যথায় এক একটা স্রোতস্বিনী—তাহার মাঝে মাঝে এক-একটি চর ; ঐ সকল চরে। যে সমস্ত পুণ্য নদীর দর্শন পাইলাম, তাহাদের গভীরতা সামান্যঅধিকন্তু সমুদ্র সংস্পর্শে এই সকল নদীর জল আম্বিাদে লবণাক্তময় হইয়াছে ৷ পাণ্ডাজীর উপদেশ মত আমরা সকলে একে একে এই সকল পুণ্যতোয়া নদীর জলে স্নান,কোনটীর বা জল স্পর্শ করিয়া এই শ্মশানক্ষেত্ৰ হইতে পুনরায় মস্কেলেশ্বরের মন্দিরের নিকট, যথায় সৰ্ব্বপ্রথমে বসিয়া সঙ্কল্প করিয়াছিলাম, সেই পবিত্ৰ স্থানে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলে পুরোহিত ঠাকুর এই স্থানেই পিতৃপুরুষদিগের উদ্দেশে শ্রাদ্ধের আয়োজন করিলেন । শ্রাদ্ধকালে সেই প্ৰাচীন আৰ্যালক্ষণযুক্ত ব্ৰাহ্মণের মুখে সংস্কৃত মস্ত্ৰোচ্চারণ শ্রবণ করিয়া পরিতৃপ্ত হইলাম। এইরূপে এখানে পিতৃ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী প্রভৃতি সমষ্টিতে বারটি পিণ্ডদান করিলাম, তৎপরে শাস্তিবারি গ্ৰহণ করিয়া পবিত্ৰীদেহে নিকটস্থ মন্দিরা ভ্যন্তরে ভগবান মস্কেলেশ্বর মহাদেবের পুজাৰ্চনাপূর্বক মহাব্ৰত উদযা