পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS 0 তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী রোধ পত্র প্রাপ্ত হইলে পূৰ্ব্বাপেক্ষ তাহাদের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করিতে লাগিলেন, তদর্শনে তাহারা নিরুপায় অবস্থায় আবার পিত্রলয়ে উপস্থিত হইয়া যথাযথ প্ৰকাশ করল । তখন প্ৰজাপতি এই অপ মানের প্রতিশোধ লইবার অভিপ্ৰায়ে সোমদেবকে রোষ ভরে এক রূঢ় অভিশাপ প্ৰদান করিলেন, তা হাতেই সোমদেবকে ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হইতে হইল । ঔষধাপতি সোমদেব এই ক্ষয় রূপ পাপ মোচনার্থ প্ৰভাস তীর্থে উপস্থিত হইয়া উদ্ধপদে, হোটামুণ্ডে দেবাদিদেব মহাদেবের কঠোর তপস্যায় রত হইলেন । ভূতভাবন ভগবান তাহার স্তবে তুষ্ট হইয়া এই স্থানে সোমদেবের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন এবং বরদানে তঁাহাকে ক্ষয়রোগ হইতে মুক্তি দান করিলেন। মহাদেবের কৃপায় তিনি শীঘ্ৰ পুৰ্ণক লেবরে এই স্থানেই প্রভান্বিত হইলেন বলিয়া এই তীর্থ প্ৰভাস নামে প্ৰসিদ্ধ হইল । তখন সোমদেব ভক্তির নিদর্শনস্বরূপ এই স্থানে এক লিঙ্গমুক্তি স্থাপন এবং তাহার উপর এক সুবৰ্ণ মন্দির নিৰ্ম্মিাণ করাইয়া তাহারই নামানুসারে ঐ বিগ্ৰহ মূৰ্ত্তিার নাম সোমনাথ নামে প্ৰসিদ্ধ করাইলেন । সত্যযুগে সোমদেব কি তত্ত্ব কি এহি সুবৰ্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় । সত্যযুগের অবসানে ঐ সুবৰ্ণ মন্দিরটিী ও ধ্বংস প্রাপ্ত হাই ; ; ; ছল । ত্ৰেতাযুগে লঙ্কেশ্বর রাজা দশানন সেই প্ৰাচীন স্বাণ নি। ‘মৃত মন্দিরটীর ধ্বংস অবস্থা দর্শনে ইহাকে স্বর্ণের পরিবর্তে রৌপ্যের দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করাইয়া। আপনি কীৰ্ত্তি স্থাপিত করিয়াছিলেন । ত্রে তার অবসানে মন্দির টী ও হতশ্ৰী হয়। দ্বাপরযুগে যদুপতি শ্ৰীকৃষ্ণ ঐ রৌপ্য নিৰ্ম্মিত মন্দিরের দুরবস্থা আব: লোকন করিয়া তিনি ইহাকে চন্দন কাষ্ঠে নবাক লেবরে প্রতিষ্ঠা করেন। এই দ্বাপরযুগে যদুবংশ ধবংসের পর হইতে এখানে কত শত হিন্দু ও মুসলমান রাজত্বের উৎখান ও পতন হইল, তোহার ইয়াক্তা নাই । কিন্তু