পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brbー তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী সহস্ৰধাৱা নামক তীর্থ স্থানে যাইবার জন্য প্ৰস্তুত কািনলাম, কিন্তু উপ রোক্ত তীৰ্থ কয়েকটীর সেবা ও দর্শন করিতে বেলা অত্যন্ত অধি হইয়াছিল, সুতরাং সীতাকুণ্ডের পাণ্ডার লোক যিনি আমাদিগের সঙ্গে ছিলেন, তঁাহার উপদেশ মত সেই গ্রামে তাহারই পরিচিত এক ব্যক্তি: বাটীতে সদলবলে সেদিনকার মত বিশ্রাম সুখ অনুভব করিয়া পা দিবস। যথাসময়ে সহস্ৰধারার মাহাত্ম্য দর্শন করিবার জন্য যাত্ৰা করিলাম সহস্র ধারা তীর্থ সূর্যাকু ণ্ড হইতে “সহস্রধারা” নামক তীর্থ স্থানটী অনু্যান অৰ্দ্ধ মাই। দুরে অবস্থিত। এই অৰ্দ্ধ মাইল পথ দুই পৰ্ব্বতের মধ্যস্থল দিয়া গমন । করিতে হয়। সহস্রধারা ও এক অপূৰ্ব্ব দৃশ্য ! প্ৰায় দুই শত হস্ত উচ্চ এক গিরিশৃঙ্গ হইতে অবিরত ঝরণার জল প্ৰচণ্ড বেগে নিঃসৃত হইয়া পৰ্ব্বতের সান স্থানে উচচ শিলাখণ্ডে বাধা প্ৰাপ্ত হইয়া সহস্র ধারে ইহার জল ইতস্ততঃ নিক্ষিপ্ত হইতেছে ; এই কারণে ইহার নাম সহস্ৰধারা হইয়াছে। সহস্রধারার দৃশ্য অতিশয় মনোমুগ্ধ করা ! কবির কল্পনাতীত ! লেখনীর দ্বারা ইহার সৌন্দৰ্য্য ব্যক্তি করা আলাপ্য। কত পরিাশ্রান্ত যাত্রী মনের সুখে এখানে এই সহস্ৰধারার পদ প্ৰান্তে প্ৰশস্ত প্ৰস্তরখণ্ডের উপর বসিয়া ইহার নিৰ্ম্মল জলে স্নান পূর্বক পরিতৃপ্ত হইতেছেন এবং প্ৰাণ ভরিয়া লীলামায়ের অপূৰ্ব্ব স্বষ্টির মধ্যে র্তাহার নানা প্ৰকার সৃষ্টির সৌন্দৰ্য্য দর্শন করিয়া তাহারই প্ৰশংসা করিতেছেন, তৎসঙ্গে আপনি আপনি শারীরিক পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় সার্থক বিবেচনা করিতেছেন । বলা বাহুল্য, আমরা ও এ বিষয়ে কোনটাই বাদ দি ই নাই। স্থানীয় পাণ্ডার নিকট উপদেশ পাইলাম, এই সহস্রধারার জল