পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>* তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী র্তাহার ভক্তগণের বাসনা পূর্ণ করিবার জন্যই রূপাপূর্বক এই সন্ম এইরূপ অবস্থায় তাহাদিগকে এখানে পাঠাইয়া আমাদের হৃদয়ে বল ও ভরসা প্রদানের নিমিত্ত পাঠাইয়া থাকিবেন। এইরূপে তাহাদেৱ । দ্বারা উৎসাহিত হইয়া ভগবানের পবিত্ৰ নাম স্মরণ করিতে করিবে: আমরাও তখন পাণ্ডা ঠাকুরকে অগ্রগামী কারিয়া গিরিগাত্ৰ বহিয়া ধীরে ধীরে উপরে আরোহণ করিতে লাগিলাম । ক্ৰমাগত আরোহণও নহে অনেক স্থান আরোহণপূর্বক পুনরায় অবরোহণ করিয়া আবার উচ্চেত্র উঠিতে হয় । এইরূপে আরোহণ ও অবরোহণসহকারে যথায় উনকোটী শিবের বাটী আছে, সেই স্থানে উপস্থিত হইলাম, এই উনকোটী ! ஐ r শিবের বাটী যাইতে রাস্তার দুই-এক স্থান বড়ই দুৰ্গম । ইঙ্গার একটু স্থানে একটা বুক্ষের পাশ্ব দিয়া অতি সঙ্কীর্ণ রাস্তা, নিয়ে গভীর গহবর, সেই বৃক্ষটী অবলম্বন করিয়া অতি সন্তৰ্পণে যাইতে হয় ; আবার ইহার এক স্থানের পথ এত ঢালু যে বিশেষ সাবধানে না নামিতে পারিলে, উপর হইতে নীচে পতিত হইবার সম্ভাবনা আছে । এই স্থানের দুই । ধারেই নিবিড় জঙ্গলাকীর্ণ অতু্যচ্চ পৰ্ব্বতশ্রেণী, তাহার মধ্য দিয়া প্ৰশস্ত রাস্তা ঘুরিয়া-ফিরিয়া উঠিয়া নামিয়া চলিয়াছে, অনেক স্থলে এই সঙ্কীর্ণ পথে ঝরণার জল বহিয়া যাইতেছে, কি ভয়ানক দুৰ্গম সােথ এই স্থানটি একবার মনে হইলে অদ্যাপি প্ৰাণে আতঙ্ক উপস্থিত হয় । উনকোটী শিবের বাটী যে স্থানে উনিকোটী শিবলিঙ্গ বিরাজ করিতেছেন, তথায় সূৰ্য্যকিরণ ভালরূপ প্ৰবেশ করিতে পায় না । এখানে শৈলিগাত্রে একটিী গুহা আছে, ঐ গুহার মধ্যে দুই-তিন হাত উৰ্দ্ধে অর্থাৎ হস্ত দ্বারা যাহা স্পর্শ করা যায়, এমন স্থানে কোটকের ছাদ হইতে অনেকানে কি ছোট