Sir তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী ai الـ kl. me জন্য বাসা, আবশ্যকীয় সমস্ত দ্রব্য সামগ্রীরই অভাব মোচন করিয়া | থাকেন, কিন্তু সুফলের সময় সাধ্যমত বিরক্ত করিয়া টাকা আদায় । করিতে ক্ৰটি করেন না । এই সকল পাণ্ডাদের নিকট নাস্তিকতা ভাব দেখাইলে আর অধিক জোর জবরদস্তি করেন না । যাত্রী সংগ্ৰহ করিবার জন্য ইহাদের ও বিস্তর গোমস্ত আছে, তঁাহারাও খতিয়ান বহি দেখাইয়া অপর তীর্থ স্থানের ন্যায় যাত্রী সংগ্ৰহ করিতে থাকেন। ঐ গোমস্তাকে সন্তুষ্ট করিতে পারিলে, তাহারা যাত্রীর সকল বিষয়েই সহায়তা করিয়া থাকেন । এই তীর্থে উপস্থিত হইয়া যাহার যে পাণ্ড নির্দিষ্ট আছেন—তিনি তঁা তারই সন্ধান করিবেন, আর যিনি नून, তিনি ইচ্ছানুযায়ী নূতন পাণ্ড নিযুক্ত করেন । দ্বারকাপুরী হইতে ৯ ক্রোশ দূরে তামড়া নামক একটা স্থান আছে। ভক্তিগণ বহু ক্লেশ সহস্থা করিয়া তথায় গমন করেন। সেখানে যে একটি পুণ্য পুকুর আছে, ঐ পুষ্করিণী হইতে গোপী চন্দন নামক তিলক মাটি অতি আগ্রহের সহিত সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন । কারণ কথিত আছে, র্যাহার দেহে এই পবিত্ৰ চন্দন আঙ্গিত হয়, তাহার শরীরে লক্ষ্মী, সরস্বতী, পাৰ্ব্বতী ও সাবিত্ৰীদেবী সদা সৰ্ব্বদা বিরাজমান থাকেন, অর্থাৎ কথন তাহার কোন দুৰ্গতি হয় না । বহু পুণ্যে মানব জন্ম সংঘটন হয়, অতএব মনুষ্যমাত্ৰেই এই সকল তীর্থের সেবা করা কীৰ্ত্তব্য বিবেচনা ক, সুবেন। এখানে একটিমাত্ৰ ব্ৰাহ্মণ ভক্তিসহকারে দক্ষিণা সহ । ভাজন করা ইলে অন্য স্থানের সহস্ৰ ব্ৰাহ্মণ-ভোজনের তুল্য ফললাভ হয়। দ্বারকারী সুফলের প্রথা আছে । এই সকল তীর্থের নিয়মগুলি পালনসহকারে ধৰ্ম্মে মতি রাখিতে পারিলে শ্ৰীকৃষ্ণের কৃপায় পুত্র পৌত্ৰাদি লইয়া পরম সুখে কালযাপন করিতে পারা যায়। এইরূপে দ্বারকার শোভা দৰ্শন করিয়া অন্য তীর্থ স্থানে যাত্রার জন্য প্ৰস্তুত হইলাম।
