এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৫৪
সঞ্চয়িতা
৮৫৪
৮৫৪ সঞ্চয়িতা
কুঞ্জে কুঞ্জছ তরুচ্ছায়ে করিছেসন্ধান হৃদয়সাথিরে- হাতে ধ'রে মোরে তুমি লয়ে গেছ সৌন্দর্যের সে নন্দনভূমি অমৃত-আলয়ে। সেথা আমি জ্যোতিষ্মান অক্ষয়যৌবনময় দেবতা-সমান ; সেথা মোর লাবণ্যের নাহি পরিসীমা ; লেখা মোরে অর্পিয়াছে আপন মহিমা নিখিল প্রনয়ী । সেথা মোর সভাসদ্ রবিচন্দ্রতারা। পরি নব পরিচ্ছদ শুনায় আমারে তারা নব নব গান নব-অর্থ-ভরা চির-সুহৃদয়-সমান সর্বচরাচর ॥
হোরো সখী, গৃহছাদে জ্যোৎস্নার বিকাশ । এত জ্যোৎস্না এত সাধে আর কোথা আছে! প্রভূত্বের সিংহাসন রুদ্ধদ্বার অন্ধকারে করিছে যাপন কর্মশালে কর্মহীন নিশি। এ কৌমুদী আমাদের দুজনের । দুটি আঁখি মুদি বারেক শ্রবণ করো-- সুগম্ভীর গান ধ্বনিতেছে বিশ্বান্তর হতে; দুটি প্রাণ বাঁধিছে একটি সুরে । স্তব্ধ রাজধানী দাঁড়াইয়া নতশিরে, মুখে নাহি বাণী॥
উল্লিখিত পরিবর্তিত পাঠ সাধনায় ছাপা হইতে দেখিয়া ( রবীন্দ্রনাথের পত্রাংশ উদ্ধৃত করা যাক্)- কাহারও কাহারও মনে এতই আঘাত করিয়াছিল যে,বন্ধু বিচ্ছেদ হইবার জো হইয়াছিল। তাহারা বলেন, কোনো আঁপিস বিশেষের কেরানিবিশেষের সহিত জড়িত না করিয়া সাধারণভাবে