শিব-কিঙ্কর চণ্ডেশ বিনা বাক্যব্যয়ে সেই দন্তগুলি উৎপাটন করিয়া ফেলিলেন। ঋষিগণ কমণ্ডলু ও অজিনাসন করে ধারণ করিয়া পলায়নপর হইলেন। রুদ্রপার্ষদ মণিমান্ সূর্য্যদেবতা ও যমকে বাঁধিয়া ফেলিলেন; সহস্র চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া দেবরাজ ইন্দ্র ঊর্দ্ধমুখে পলায়ন করিয়া আত্মরক্ষা করিলেন। প্রতিহারী ও সশস্ত্র সৈনিকবর্গ কে কোথায় ছুটিয়া পলাইয়া গেল, তাহার ঠিকান পাওয়া গেল না; সেই যজ্ঞশালা ভূতপ্রেতের তাণ্ডব-নৃত্যে শ্মশানের ন্যায় হইয়া গেল।
দাম্ভিক দক্ষ স্বীয় দেব-শক্তি নেত্রকনীনিকায় পুঞ্জীভূত করিয়া দৃষ্টিদ্বারা যে অগ্নি প্রজ্বালিত করিলেন, তাহা সহ্য করিতে অসমর্থ হইয়া চণ্ডেশ দূরে সরিয়া গেল, কিন্তু বীরভদ্রের দেহে যে কালানলপ্রভ দ্যুতি ছিল, তাহার স্পর্শে দক্ষের নেত্রাগ্নি মন্দীভূত হইয়া লয় পাইল। বীরভদ্র দক্ষের গ্রীবাধারণ পূর্ব্বক তাঁহাকে পশুহননের হাড়িকাষ্ঠে বাঁধিয়া ফেলিলেন এবং ক্ষণপরে পশুহননের অস্ত্রদ্বারা তাঁহার মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিলেন।
যজ্ঞ পণ্ড হইয়া গেল, ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর নিকট এই সংবাদ পৌঁছিল, তাঁহারা শিবের নিকট উপস্থিত হইলেন।