বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সপত্নী সরো.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ ৷ সপত্নী সরো। দুরভি উপনীত হইল । আদিমাধৰ তাহাকে দেখিয়া জিজ্ঞাসিলেন, “ আরে ছন্নভ, আলি আয়—জাম "। - ছন্নভ কহিল “আজ্ঞে, ঠাকুর, আলাম। কিন্তু এবার বড় দুখ পালাম । তবে দদি দুগ্ধ ছানা চিনি ঘেৱতো যতেষ্ট খালাম্ব-এই ক্যাবল মুখ”। গোস্বামী হাসিয়া কহিলেন, “জারে বেটা, সেটা কি সামান্য স্থখ । যা হউক, বাপু, আলি–আমার ভাবনা দূর হলো । তাছার পর মৃদুস্বরে গোস্বামী ছল্লভকে জিজ্ঞাসিলেন, “ইরে চুল্লভ, পথে কোন কানেষ্টেবলকে এ দিকে আসতে দেখলি ?” দুল্লভ বিরক্ত হইয়া কহিল, “আরে ঠাকুর, ন ন –কি বিপদ! তুমি থামোত – রাত্রিদিন কেবল “কানেষ্টেবল”—“কানেষ্টেবল” । আদিমাধব ঈষৎ মৌন থাকিয় কহিলেন, “সে যা হউক, দুল্লভ, এখন দেখ যাওয়া যায় কি না । বেলা তো নাই। সম্মুখে বিস্তীর্ণ নদী । এবং নদী পার হইয়াই দুর্গম বন । হিংস্ৰক পশুরও ভয় আছে”। দুল্লভ কহিল, “সে তো চির কালিই আছে”। গোস্বামী কহিলেন, “তাতে আগু বটে ; কিন্তু এখন করা যায় কি ?-য়াওয়া যায় কি না বুঝে দেখ”। দুৰ্লচ কছিল, “ এখন তো কোনমতেই যাওয়া নয় । নিকটে গ্রাম আছে—তথায় রাত্রি বাস করে প্রত্যুষে উঠে যাওয়া এই পরামর্শ। তবে গ্রামে কএক ঘর দুষ্ট লোক আছে । মধ্যে এক ঘর সংগোপ আছে,—অতি ভাল লোক –সেইখানেই থাকা যাক” । - গোস্বামী প্রাচীন ভৃত্যের প্রস্তাবে সন্মত্ত হইয়। একেবারে গাত্ৰোথান করিলেন, এবং বারেক নদীর কুলে নামিয়া সায়ংসন্ধ্য সমাপন করিলেন। তদনন্তর ধীরে ধীরে গ্রামাভিমুখে ঘাইতে লাগিলেন। দুর্লভ আগে আগে চলিল। যাইতে যাইতে “ এ কার বাড়ী-ও কার বাড়ী * ইত্যাদি