বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সপত্নী সরো.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপত্নী লরেণ । 5יל: আমিৰৰ “গোবিল-গোবিন্স - বলিয়া বাটতে প্রবেশ করি লেন। গোস্বাস্ত্রী-জীয় অগ্রসর হইলেন। তাহার পর দেখিতে দেখিতে শিষ্য সেৰক, দাল দাসী, প্রতিবাসিগণ মালিয়া যথাযোগ্য প্রশাম— নমস্কার-করতঃ পরস্পর কুশল জিজ্ঞাসাবাদ করিতে লাগিলেন। কিঞ্চিৎ ক্ষণ পরে জনতা নিবৃত্তি হইল। গোস্বামী পদ ধৌত করিয়া সন্ধ্যা করিতে বসিলেন । প্রাচীন তুর্লভ গোস্বামী-জায়াকে ও অার আর সকলকে একে একে প্ৰণাম করিয়া শকট হইতে দ্রব্য সকল উঠাইতে লাগিল। প্রথম দিন এইরূপ গোলযোগে গেল। পরদিন প্রাতে গোস্বামী প্রাতঃকৃত্য সারিয়া চণ্ডীমণ্ডপে বসিলেন। সম্মুখে প্রিয় শিষ্য। পার্শ্বে স্থলভ । কিঞ্চিৎ অন্তঃপটে গোস্বামীর বনিতা।--ফলতঃ পরস্পর অতি সন্নিহিত ৰটে। গোস্বামী-জায় অধোবদনে আছেন-যেন কিছু তার ভার। কিঞ্চিৎক্ষণ পরে মুখ তুলির স্বামীকে জিজ্ঞাসিলেন, “ তৰে আমার জন্যে কি এনেচ তা বল ”। গোস্বামী কছিলেন, “এ বার ষে বেঁচে এসেছি, সেই বিস্তর জানবে । ৰোধ হয় সে সকল কথা শুনে থাকবে। তৰে তৈজসপত্র বা কিঞ্চিৎ আছে, তা তো সকলি তোম্বার সম্মুখেই রয়েচে । । আমরা পূর্বে প্রকাশ করি নাই যে গোস্বামীর বনিতা স্বভাবতঃ কলহপ্রিয়া, এবং সমস্ত স্ত্রীলোকের ন্যায় অতিশয় অভরণ-প্রয়াসিনী ছিলেন। গোস্বামীর মুখে ভূষণের স্থলে তৈজসের কথা শুনিয়া অতিশয় রুষ্ট হইলেন। তবে পিতলের থাল কেটে তাবিজ করি ? রেকৰি ভেঙ্গে হার গড়াই ?” ইছা কহিয়া সম্মুখে যে সমস্ত তৈজস ছিল, তাহ পা দিয়া চতুর্দিকে ফেলিয়া দিলেন।