ఉs সপত্নী সরে । তদনন্তর রাজাবাবুর মা কুমুদিনীকে উপর প্রকোষ্ঠে গমনের घूउन সিঁড়ির পথ দেখাইয়া দিয়া কাৰ্য্যাস্তরে গমন করিলেন। কুমুদ অবরুদ্ধ সিঁড়ির কবাটু ঈষন্মুক্ত করিয়া অতিশয় স্বমার্জিত দারুময় সিঁড়ির প্রথম সোপানে, পাদক্ষেপ করিবামাত্র, গভীর রবে হিন্দী ভাষায় শুনিল—“ কোন যাতা হ্যায় ? " ও "সেই সময় ভীম নাদে কুক্কুর ডাকিয়া উঠিল । স্বভাবতঃ মৃদ্ধ ও সাহসহীন কুমুদিনীর কর্ণে তাহ ভীমের গদার ন্যায় বাজিল, ও সভয়ে কুমুদিনীর হংকম্প হইল। হাত পা কঁাপিতে লাগিল । ও যেখানকার পা সেইখানেই রহিল । - অনন্তর কম্পিত কামিনী সভয়ে পশ্চাতে অবলোকন V. দেখিল, যে নিবিড় কৃষ্ণবর্ণ, করালবদনা, এক পশ্চিমা নারী গবাক্ষের দ্বারে দাড়াইয়া আছে। আর তাহার অনতিদূরে লৌহন্থখলে বদ্ধ নেপালদেশীয় বিশালদস্তযুক্ত লোমশ কাল কুক্কুঞ্জ একটা বসিয়া আছে। উক্ত উভয় অকুশল মূৰ্ত্তি দেখিয়া কুমুদিনীর আরও ত্রাসবৃদ্ধি হইল। এবং অদূরে ক্ষুধাৰ্ত্ত ੇ। দেখিয়া কুরঙ্গিণী যেরূপ চঞ্চল ও ব্যাকুল৷ হয়, কুমুদিনীর এক্ষণে সেই ভাব হইল। ও মনে মনে কহিতে লাগিল, “ হায় হায়! কেন বা এসেছিলেম্। যদি না আসতেম্ তো ভালই হতো। বুৰি, আজি কুকুকুরের ভক্ষ্য হবে৷ ”। । বোৰ হয় উক্ত পশ্চিমা নারী কুমুদকে পূৰ্ব্বে’কখন দেখে নাই। অনস্তর, কুমুদিনীর কমনীয় ঐ দেখিয়া উক্ত ভীষণ নারীমূৰ্ত্তি ললিতস্বরে কহিল, “ যাও মাই-উপর যাও ”। এ কথায় কুমুদিনী আকাশ হাতে পাইয়া শনৈ: শনৈঃ সিঁড়ীতে উঠিতে লাগিল,-ও সম্ভয়ে চতু দ্বিগে এক এক বার নিরীক্ষণ করিতে লাগিল—যে পাছে আর কেহ কোন দিহু হইতে জালিয়া উাছার উপরে গমনের প্রতিবন্ধক হয়। কিন্তু
