বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à 6 D 어 अयों, ४०२e. কথা আমাদের কাণের ভিতর দিয়ে মরমেও প্রবেশ করে। আর এক কথা, আমাদের ভাষায় “দেশাত্মবোধ” আসবার পূর্বেও আমাদের মনের ভিতর দেশের প্রতি ‘মমতা’ ছিল । এবং সে “মমতা।” স্বদেশী যুগের আগমনের পূর্বে যে-সকল বাঙ্গালী লেখকের রচনায় প্ৰকাশ পেয়েছে, দ্বিজেন্দ্ৰলাল তার মধ্যে একজন অগ্রগণ্য । সাহিত্যে স্বদেশের প্রতি এবং স্বদেশীর প্রতি মমতা প্ৰকাশের পদ্ধতি সে যুগে একটু স্বতন্ত্র ছিল। সেই স্বাতন্ত্রের প্রতি লক্ষ্য করলেই, দ্বিজেন্দ্রলাল তার হাসির গানে তার স্বদেশ-গ্ৰীতির কি অপুর্ব পরিচয় দিয়েছেন, তা আমাদের সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ( ७ ) আমাদের নব শিক্ষার আলোকে, প্ৰাচীন ভারতবর্ষ এবং বর্তমান ইউরোপের তুলনায় আমাদের বর্তমান হীনতাই প্ৰথমে নজরে পড়ে। তাই দ্বিজেন্দ্ৰলাল তার হাসির গানে যে মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন, তার নাম দেশগ্ৰীতি-দেশভক্তি নয়। আমি ভক্তি শব্দ ব্যবহার করতে একটু ভয় পাই। কেননা নিত্যই দেখতে পাই যে, যে প্রীতির সঙ্গে বুদ্ধি বিবেচনার কোনও সম্পর্ক নেই, সচরাচর লোকে তাকেই ভক্তি বলে থাকে,- যেন জ্ঞান ও কৰ্ম্মকে বলিদান দেওয়াই হচ্ছে ভক্তির ধৰ্ম্ম । অবশ্য এ ধারণা সত্য নয়, কেননা শাস্ত্ৰমতে ভক্তির অর্থ পরা-প্ৰীতি। এ অর্থে ভক্তির একমাত্র পাত্র ভগবান । সুতরাং স্বদেশ এবং স্বজাতির প্রতি মানুষের ভালবাসাঁকে প্রীতি বলাই নিরাপদ, কেননা এ মনোভাব হচ্ছে লৌকিক