বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOUV9 সবুজ পত্ৰ छ्त्रांत्रिंभ ७ कांर्डिक, ४७२७ বিচার তিনিই করতে পারেন-যিনি সঙ্গীতের রূপ চিনুন আর না। চিনুন, গন্ধ চেনেন। এ দেশে গীত যে অনেক গায়কের নাসারন্ধ, দিয়ে নিৰ্গত হয়, তা জানি ; কিন্তু ত: যে শ্রোতাদেরও উক্ত ছিদ্র দিয়ে অন্তরে প্রবেশ করে, এ কথা পূর্বে জানতুম না। ফলকথা, হিন্দুস্থানী সঙ্গীত, সঙ্গীত হতে পারে ; কিন্তু হিন্দু কিনা, সে বিষয়ে আচাৰ্য্য ও ওস্তাদে মতের মিল নেই। অতএব দেখা গেল যে, হিন্দু-সঙ্গীত বলতে কি বোঝায়, তা নির্ণয় করা অসম্ভব, কেননা ও-শব্দে কোন ও-এক জিনিস বোঝায় না। নানা বিভিন্ন জাতীয় নানা বিভিন্ন রীতির সঙ্গীতকে আমরা ঐ এক ছাপমারা মোড়কে পুরে দিই। হিন্দু-সঙ্গীত বলে সঙ্গীতের এমন কোনও একটি বিশেষ typeও নেই—যা আচল, আটল, পরিচ্ছিন্ন ও নির্বিকার। আমাদের দেশের গানবাজনাও মুখে মুখে ও হাতে হাতে নানা রূপ ধারণ করে” নানা চালে চলছে। পরিবর্তনের নিয়ম এ ক্ষেত্রেও পুর্ণমাত্রায় কাজ করেছে। সুতরাং বৰ্ত্তমানে কেউ যদি নূতন ঢংয়ের সুর গড়েন। কিম্বা পুরোণোকে নুতন চালে চালান, তাহলে তাতে করে হিন্দু-সঙ্গীতের ধৰ্ম্ম নষ্ট করা হবে না। ( 8 ) পূর্বোক্ত মতের বিরুদ্ধে অনেকে এই আপত্তি উত্থাপন করবেন। যে, হিন্দু সঙ্গীতের বিশেষত্বই এই যে, তার কতকগুলি সুপরিচিত type আছে-যার নাম ছয় রাগ ছত্রিশ রাগিনী। এবং সেই সব রাগরাগিনীর একসুর বদলালে হিন্দু সঙ্গীত বিকারগ্ৰস্ত হয়ে পড়ে।