বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७घ्र बर्थ, अद्वैब न३५f खछ छि१िमझ eध কিন্তু এদের সঙ্গীতটা আমার মনে হল বড় বেশীদূর এগোয় নি। বোধ হয় চোখ আর কান, এই দুইয়ের উৎকর্ষ একসঙ্গে ঘটে না। মনের শক্তিস্রোত যদি এর কোনো একটি রাস্তা দিয়ে অত্যন্ত বেশী আনাগোনা করে, তাহলে অন্য রাস্তাটায়। তার ধারা অগভীর হয় । ছবি জিনিসটা হচ্চে অবনীর, গান জিনিসটা গগনের। অসীম যেখানে সীমার মধ্যে, সেখানে ছবি ; অসীম যেখানে সীমাহীনতায়, সেখানে গান ৷ রূপরাজ্যের কলা ছবি, অপরূপ রাজ্যের কলা গান । কবিতা উভচর, ছবির মধ্যে ও চলে, গানের মধ্যে ও ওড়ে। কেননা কবিতার উপকরণ হচ্চে ভূষা । ভাষার একটা দিকে অর্থ, আর একটা দিকে সুর ; এই অর্থের যোগে ছবি গড়ে ওঠে, সুরের যোগে গান । জাপানী রূপরাজ্যের সমস্ত দখল করেচে। যা কিছু চোখে পড়ে, তার কোথাও জাপানীর আলস্য নেই, অনাদর নেই; তার সর্বত্রই সে একেবারে পরিপূর্ণতার সাধনা করেচে। অন্য দেশে গুণী এবং রসিকের মধ্যেই রূপ-রসের যে বোধ দেখতে পাওয়া যায়, এ দেশে সমস্ত জাতের মধ্যে তাই ছড়িয়ে পড়েচে । য়ুরোপে সার্বজনীন বিদ্যাশিক্ষা আছে, সার্বজনীন সৈনিকতার চর্চাও সেখানে অনেক জায়গায় প্রচলিত,-কিন্তু এমনতর সার্বজনীন রসবোধের সাধনা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এখানে দেশের সমস্ত লোক সুন্দরের কাছে আত্মসমৰ্পণ করেচে। তাতে কি এরা বিলাসী হয়েচে ? অকৰ্ম্মণ্য হয়েচে ? জীবনের কঠিন সমস্যা ভেদ করতে এরা কি উদাসীন কিম্বা অক্ষম হয়েচে ?-- ঠিক তার উল্টো। এরা এই সৌন্দৰ্য্যসাধনা থেকেই মিতাচার শিখেচে ; এই সৌন্দৰ্য্যসাধনা থেকেই এরা বীৰ্য্য এবং কৰ্ম্মনৈপুণ্য