৩য় বার্য, অষ্টম সংখ্যা দরবেশের উপদেশ 8 ፃዓ আগামী ও গতকল্যের ভূয়ো মাধুরীতে যে মাজে, সে কি বেকুব - অন্তকার কোলে শিশু হওয়ার মত জীবনের সার্থকতা আর কোথায় ? বাছারে। বর্তমানের প্রতি সেলাম দান না করিয়া এক তারিখও জলগ্ৰহণ कब्रि७ न । A. সংকল্প ও সিদ্ধির মধ্যে যে কালো বুড়ীটাকে দেখা যায়, সে সয়ন্তানীর নাম-দীর্ঘ সূত্ৰতা । চোখে পড়িবামাত্র সেটাকে খেদাইয়া দূর করিয়া দিবে। তাহার ফুৎকারে বিষের সরবৎ টগ্বগা করিয়া ফুটিয়া, গাঁজিয়া উঠিয়া, উপচিয়া পড়িয়া সংকল্পকে অচেতন করে, এবং সিদ্ধিকেও বিশ বাঁও পাতালের তলায় কবর-চাপা দিয়া রাখে। হে পুত্ৰ ! সর্দার সাজা মুখের কথা নয়। তাহাঁদের এমন চোগাচাপিকান পরিয়া দাড়ানো চাই যে, দশজন যেন চাহিয়া দেখে। দরজীকে পুছিও, আমাদের জাম-জোড়ার সেলাই আগা-সো-গোড়াতক আলোহিদা কায়দার। —অন্ততঃ ঐ বুকের কাছটায় তো সহিষ্ণুতার সবুজ-সুত চাই-ই চাই, যে নম্রতাকে টানিয়া আনিয়া জ্ঞানের সঙ্গে এক করিয়া জুড়িয়া দিয়াছে।.........সর্দার হইলেই চলিবে না। সড়কের মাঝে আইল গড়িয়া যে নিজ এক্তিয়ার জাহির করে, তাহার বাতুলত। বরং অল্প; কিন্তু, যে, যে-কোনো-এক ঠাইয়ে একটা গ্ৰণ্ডী দাগিয়া লইয়া, আপনার বাড়ী মনে করিয়া খুস-মেজাজে জিগীর ছাড়িতে ছাড়িতে বসিয়া পড়ে,-মাণিক আমার! তাহার চুকিটাই জবর টুকি । কারণ, বাড়ী পৌছিবার জন্য, সারা দুনিয়াই যে একমাত্র রাস্তা ! অবিশ্রাম চলিতে থাকা ব্যতীত পথের আর কি ব্যবহার করিতে চাও ? বে যতটুকু বসিতে চায়, সে ততটুকু খারাপ মুসাফির। আমাদের পূর্বতন আকেলমান মৌলবীগণ কি সাধা করিয়া এই
