পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eg , cert tely সত্যনিষ্ঠা VeRad যে দোষটা যে ষোল আনা বিষয়ী জগতের তাহা নহে। অনেক সময় দেখা যায় যে এই বিরোধের মূল কারণ আর কিছুই নয়, আমরা সব সময় সত্য বা ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে খাটি সত্য কথা বলি না । জিনিসটাকে আমরা সিংহাসনে চড়াইয়া তফাৎ করিয়া রাখিয়াছি তাহার কারণ এই যে বাস্তবিকই যাহাকে আমরা ধৰ্ম্ম বলি সেটা জীবনের সঙ্গে ঠিক খাপ | | | ( 又 ) ধৰ্ম্মনীতিরও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের” সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হওয়া আবশ্যক। অথচ ধৰ্ম্মনীতিকে আমরা নিত্য ও সনাতন জ্ঞান করিয়া তাহার অঙ্গে হস্তক্ষেপ করিতে সাহস করি না । জীবনে যেটাকে সত্য বলিয়া অনুভব করিয়াছি আমাদের অন্বয়াগত ধৰ্ম্মনিয়মের সঙ্গে তাহার বিরোধ দেখিতে পাই । সেখানে আমরা সাহস করিয়া বলিতে পারি না যে পূর্বের নিয়ম মিথ্যা। কাজেই সে নিয়মকে সিংহাসনে চড়াইয়া ফুল চন্দন দিয়া পুজা করি, আর তার সম্মুখে একটা পরদা টানিয়া তাহার আড়ালে নুতন-পাওয়া সত্যকে লইয়া ঘর করি। সনাতন ধৰ্ম্ম-নিয়মের সঙ্গে আমাদের এই রকম লুকোচুরী চিরকাল চলিয়া আসিতেছে। সমাজ যেমন চলিতেছে। ধৰ্ম্ম ও নীতির বিধানও তাহার সঙ্গে পরিবৰ্ত্তিত হইতেছে এবং সেগুলির উপযুক্ত পরিবর্তন বা সংস্কার না করিলে তাহা জীবনের শাস্ত্ৰ হইতে পারে না। এই সত্য যদি আমরা স্বীকার না করি-প্রচলিত বিশ্বাস যেখানে অসত্য বা অসম্পূর্ণ বলিয়া