পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বৰ্য, নবম সংখ্যা জাপান-যাত্রীর পত্ৰ (S চলার কাজে মনকে লাগাতে হচ্চে না। তাই মন, যা সামনে দেখাচে তাকে পূৰ্ণ করে দেখছে। জল স্থল আকাশের সমস্তকে এক করে forfèCo দেখতে পাচে । ” ভেসে চলার মধ্যে দিয়ে দেখার আর একটা গুণ হচ্চে এই যে, তা মনোযোগকে জাগ্রত করে, কিন্তু মনোযোগকে বদ্ধ করে না । না দেখতে পেলেও চলত, কোনো অসুবিধে হত না, পথ ভুলতুমি না, গৰ্ত্তয় পড়তুম না। এই জন্যে ভেসে চলার দেখাটা হচ্চে নিতান্তই দায়িত্ববিহীন দেখা-দেখাটাই তার চরম লক্ষ্য-এই জন্ধেই এই দেখাটা এমন বুহৎ, এমন সুতানন্দময় । এতদিনে এইটুকু বোঝা গেছে যে, মানুষ নিজের দাসত্ব করতে বাধ্য, কিন্তু নিজের দাসত্ব করতে তার প্রীতি নেই। খাওয়া পরা, দেওয়া নেওয়ার দরকার তাকে মেটাতেই হয়, কিন্তু তার বাইরে যেখানে তার উদ্ধান্ড, সেইখানেই সে মুক্ত, সেইখানেই সে আপনার পরিচয় পায়। এই জন্যেই ঘটিবাটি প্রভৃতি দরকারী জিনিসকেও মানুষ সুন্দর করে।’ গড়ে তুলতে চায়,-প্ৰয়োজনকেই চরম করে দেখতে তার লজ্জা । "আমি আরো বড়” এই ব্যঞ্জনটিকে সে আপনার সমস্ত কিছুর সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। আমার না হলেও চলত, কেবল আমি ইচ্ছা করে' করচি, এই যে মুক্ত কর্তৃত্বের ও মুক্ত ভোক্তত্বের অভিমান, যে অভিমান বিশ্বअमेनि अवर त्रिश्नप्लग्भटनन,-6नश् अडिभनह মানুষের সাহিত্যে এবং ས། এই রাজ্যটি মুক্ত মানুষের রাজ্য, এখানে জীবনযাত্রার দায়িত্ব আজ সকালে যে প্রকৃতি সবুজ পাড়া-দেওয়া গেরুয়া নদীর সাঁড়ি