বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Lev R সবুজ পত্ৰ ‘ठेख, s७३७ এতদিন আমরা হাসিমুখেই সহ করে এসেছি।-কেননা আমাদের বিশ্বাস, নিন্দ-প্ৰশংসার হুজুগে সাহিত্যের কোনও চিরস্থায়ী ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। যে কথার ভিতর কোনও সত্য আছে, তা আজ না হোক, কাল গ্ৰাহ হবে। শতমুখের। শতনিন্দার ফুৎকারে সে সত্যের আগুন নেভা দুরে যাক-আরও জ্বলে উঠবে। আর যে কথার ভিতর কোনও সত্য নেই, শতমুখের শত প্ৰশংসার ফুয়ে তার মিথ্যার ছাঁই শুধু আকাশে উড়বে—এবং সম্ভবতঃ সমাজের চোখেও ঢুকবে; কিন্তু তাতে কারও চোখ চিরদিনের জন্য অন্ধ হবে না । আমার বিশ্বাস সাহিত্য-সমাজে অযথা নিন্দার চাইতে অযথা প্ৰশংসা আরও বেশী মারাত্মক, কেননা ও-জাতীয় প্রশংসায় মানুষকে মুগ্ধ করে এবং মোহ আত্মশক্তিকে অভিভূত করে। আমাদের কপালে যে তা জোটে নি—এ আমাদের ‘সৌভাগ্য। সবুজ পত্রের কথার ভিতর কোনও সত্য আছে কিনা, তার পরিচয় পাওয়া যাবে, যখন সে কথা বাসি হবে। ইতিমধ্যে আমরা ধৈৰ্য্য ধরে থাকতে পারব, কেননা সাহিত্য-সমাজে আমরা নগদ বিদায়ের প্রত্যাশী নই। সবুজ পত্র যে উপেক্ষিত না হয়ে, বিড়ম্বিত হচ্ছে-এতেই আমরা কৃতাৰ্থ হয়েছি। সাহিত্য-জগতে তিরস্কারকে অনেক সময়ে পুরস্কার; হিসাবেই গণ্য করতে হয় । তবে সবুজ পত্র নিয়ে আমাদের ক্ষুদ্র সাহিত্য-সমাজে যে ছোটখাটো হুজুগটির সৃষ্টি করা হয়েছে, তা আমার কাছে নিতান্ত আক্ষেপের বিষয় বলে মনে হয়। আমরা যে হুজুগপ্রিয়, এ কথা ত সৰ্ব্ববাদীসম্মত। হুজুগ জিনিসটি কোন দেশেই জাতীয় মনের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয় ;- এদেশে ত বিশেষ ক্ষতিকর। হুজুগেরও একটা