বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুশিক্ষার মূলমন্ত্র। শিশু-সাহিত্য ও শিশুশিক্ষা নিয়ে ‘সবুজ পত্রে যে আন্দোলন উঠেছে, তা বিশেষরূপে ভাববার বিষয়। আলোচনাটি জুড়োতে দেওয়া ঠিক নয় ভেবে, আমি আজ লিখতে বসেছি। আমাদের দেশের শিশুরা মনুষ্য-শাবক বলেই মানুষ হয়; অর্থাৎ মনুষ্যকৃতি লাভ করে ৫ তাদের মানুষ করবার জন্য রীতিনীতি বিধি পদ্ধতির বালাই নেই। স্তন্য আছে, কঁাদলেই পায় ; ধূলোমাটি আছে, গড়াগড়ি দেয় ; বছর পাঁচেক “” হ’ত না হ’তে ছেলেরা লেখাপড়া শিখতে (ঠিক শিখতে নয়,-গিলতে) স্কুলে যায়। তারপর অদৃষ্টের গুণে বা দোষে-ডাক্তারু, উকীল, ব্যারিষ্টার, কেরাণী, মোটর-ড্রাইভার ট্রাম-কাণ্ডাক্টর, ছাপাখানার প্ৰিণ্টার ইত্যাদি ইত্যাদি যা বল হ’য়ে-কেউ বা স্বচ্ছন্দে, কেউ বা অস্বচ্ছন্দে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে চলে যায় । এই হ’ল। আজকালকার বাঙ্গালীর জীবন । এই জীবনযাত্রার গতি ফেরাতে হ’লে, মূল ধরে ব্যবস্থা করতে হয়। এখন দেখা যাক এর মূলটা কোথায়। মনুষ্য-সমাজে শিশুপালনের ভার পিতা ও মাতা উভয়ের হ'লেও, আসলে সেটি মায়েরই কাজ । পিতা জীবিকা অর্জনে ব্যস্ত, তীর অবসর নেই- সুতরাং শিশুর সম্পূর্ণ ভার মায়ের উপর পড়ে । কিন্তু আমাদের দেশে সচরাচর বালিকারাই মা হ’য়ে থাকে । ১৬১৭