পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প ছাড়িয়ে এসেচি ! -প্রসেশন কতদূর গেল ? -জওহরলালজির মোটর তো স্ট্র্যাণ্ড রোড দিয়ে হাইকোর্ট-মুখো চলে গেল দেখলাম-আর কিছু বলতে পারি নে। বসুন, এনকোয়ারি আপিসে জিজ্ঞেস করে আসি । লোকটা সেই যে চলিয়া গেল, আর ফিরিল না । অন্তত আমি আর তাহাকে দেখিলাম না । মিনিট কুড়ি পরে পাঞ্জাব মোল আসিয়া সশব্দে স্টেশনে প্ৰবেশ করিল। বিশেষ কোনো দলকে আগাইয়া যাইতে দেখিলাম না, সেই ক্ষুদ্র সংকীর্তন পার্টি ছাড়া, তাহারা ততক্ষণ খোল ও খঞ্জনীর সাহায্যে উদ্দণ্ড রেঢ়ো কীর্তন জুড়িয়া দিয়াছে । প্ল্যাটফর্মময় ফুল ও ছোড়া ফুলের মালা ছড়ানো । কিছুক্ষণ পূর্বে পণ্ডিতজির উদ্দেশে যে বিরাট পুষ্পবৃষ্টি হইয়। গিয়াছে, তাহারই চিহ্ন । একগাছা মালা কেন সংগ্ৰহ করিয়া আনিলাম না ভগবানের জন্য, ভাবিয়া মায়া হইল সে বেচারীর উপর । সংকীর্তনের দল কি মালা আনিয়াছে ? আনিতে পারে । হুড়হুড় করিয়া লোক নামিয়া গাড়ী খালি হইয়া আসিল । বাঙালী, বিহারী, মাদ্রাজী, পাঞ্জাবী, পাঠান যাত্রীর দল নিজের নিজের জিনিসপত্র কুলীর মাথায় চাপাইয়া, ব্যাগ ও টিফিন-ক্যারিয়ার নিজের নিজের হাতে ঝুলাইয়া গেটের দিকে চলিয়ছে। স্থানে স্থানে ভূপাকার বাক্স ও হোল্ড-আল-বাধা বিছানাকে কেন্দ্ৰ করিয়া মেয়েরা বালকবালিকাসহ দাড়াইয়া আছে, সঙ্গের পুরুষেরা কুলীদের সঙ্গে দরদস্তুর করিতেছে। খুব একটা ব্যস্তত্রস্ততার ভাব চারিদিকে। কিন্তু-ভগবান কই ? ফাস্ট ক্লাস দেখিলাম, সেকেণ্ড ক্লাস দেখিলাম । দুই তিনটি বাঙালী পরিবার একটি সেকেণ্ড ক্লাসের কামরা হইতে নামিয়া কামরার, S.