বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সরোজ বালা.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬ সরোজ-বালা । নলিনীকাস্কের মুখে এই কথা শুনিয়া সীতানাঘের ভয় হইল । সে ক্ষণকাল আর কোন কথা না বলিয়া, তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। নলিনীকান্ত বুঝিতে পারিলেন যে, অভয়বাবুর নাম শুনিয়া সীতানাথের এত ভয় হইয়াছে। श्रुडनां তাহাকে প্রবোধ দিবার জন্ত বলিলেন “আপনার ভয়ের কোন কারণ নাই। আমি যখন নিজেই এই কার্ঘ্যে রছিয়াছি, তখন আর আপনার ভাবনার আবশুক কি ?” আমার দাদার কয়দিন হইল সাংঘাতিক পীড়া হইয়াছে। চিকিৎসকেরা সকলেই তাহার জীবনের অাশা ত্যাগ করিয়াছেন । র্তাহার স্ত্রী ও একমাত্র কন্ঠ। বর্তমান আছেন । তাছাদের ক্রনীনের জালায় আমি ত আর বাটতে স্থির থাকিতে পারি না । তাই, কি করি, এখান সেখান করিীে, যে কোনরূপে হউক সময় কাটাই। যতদিন দাদার ভালমনা কিছু না হচ্ছে ততদিন আর আমার মঙ্গল নাই। পরে আস্তে আস্তুে আবার বলিতে লাগিলেন "ভাই দুঃখের কথা বলিব কি ! এতদিন যে দাদার সেবা করিলাম তাহার কি কিছুই হইল না । শেষে মরিবার সময় মেয়ের নামেই সব,— আমাকে যৎসামান্ত দিয়া এখন বলেন কি প্রীতিময়ী রহিল, দেখ । প্রীতিকে বিষয়ের সমস্ত দিলেস, আবার তাহাকে দেখিতে হইবে কি ? এতুঃখ কি আর কাহাকেও জানাইবার কথা ? আমারও প্রতিজ্ঞ কোন না কোনরূপে, বিষয় আমার করিব,—তবে আমার নাম নলিনীকান্ত । এ কি সহজ কথা পিতার বিষয়ে উভয়ের অধিকার। আমাকে একেবারে বঞ্চিত করিলেন । দেখা যাক কি হয় । আপনি যখন সহায় আছেন