বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সরোজ বালা.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 সরোজ-বালা । যে, আমাদের যে বিষর এখন আছে, তাহা প্রীতির অর্ধেক ও তোমার অর্ধেক। তাহাতে কাকাবাবু কোন কথাই বলেন নাই, বরং অল্প অল্প রাগাম্বিত বোধ হইয়াছিল । আর সেই অবধি তিনি স্বামার সহিত ভাল করিয়া কথা কন নাই। কাকা বাবু অমন কেন মা। বাবার বিষয় উনি অর্ধেক পাইবেন তাহাতেও মন্স উঠে না । কন্যার এই সকল কথা শুনিয়া তাহার প্রাণে আঘাত লাগিল। যে পতিশোকে অন্তরে অস্তরে দগ্ধ হইতেছিল কন্যার এই কথায় তাহা দ্বিগুণ প্রক্সলিত হইল । অনেকক্ষণ. কোন কথা কহিবার ক্ষমতা রছিল না। পরে তিনি কন্যাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন “প্রীতি ! ও কথা বলিতে নাই। আজ যাহা বলিলে যেন জয় কাহার ও নিকট কোন দিন তাহা ব্যক্ত করিও না । ওরূপ কুশ্চিন্তাকে মন হইতে বিদূরিত করিয়া দাও । এখন হইতে আমার আমার করিলে ভবিষ্যতে তুমি একজন ভয়ানক স্বার্থপর ব্যক্তি হইয়া পড়িবে সন্দেহ নাই। বিশেষ তোমার কাকাবাবু অতি সজ্জন। আমি তাহাকে শৈশবাবধি মানুষ করিয়া আসিতেছি । তাহার চরিত্র বড় ভাল । কেবল একটু অভিমানী । অল্পেতেই অভিমান হইয়া থাকে। মাতার মুখ হইতে এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া, প্রতিময়ী কিছু অপ্রতিভ হইল বটে কিন্তু তাহার মন হইতে নলিনীকাজ ৰাবুর জলৎ চরিত্রের স্থতি উঠাইতে পারিল না। কেবল তাহার মনে নানাপ্রকার ভয়ের সঞ্চার হইতে লাগিল । অবশেষে সৰ্ব্বসন্তাপহারিণী নিদ্রা জালিয়া ভাষা সকল জালা দূর করিল।